সেরা টেম্পলেট উদাহরণসহ—৯টি পেশাদার ইমেইল সিগনেচার টিপস
() translation by (you can also view the original English article)
আপনার ইমেইল সিগনেচারটি শুধুমাত্র আপনার নাম ও টাইটেল থেকেও আরও বেশী কিছু বোঝায়। এটা আপনার ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিংয়েরও অংশ। এটা এমন হওয়া উচিৎ যাতে সহজেই পাঠককে উত্তর দিতে উদ্বুদ্ধ করে, যোগাযোগের তথ্য প্রদান করে, এবং এমনভাবে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যা পাঠকের কাছে ইতিবাচক ও স্মরণীয় হয়।
এই প্রবন্ধে আমরা ইমেইল সিগনেচার সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। এখানে আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল ইমেইল সিগনেচার তৈরি করার জন্য নয়টি টিপস দেয়া হলো। আপনার পত্র পাঠকরা কেবল তখনই প্রতিউত্তর করবে যখন তারা আপনার পাঠানো বার্তায় পেশাদার ইমেইল সিগনেচার দেখতে পাবে।



একটি ভালো ইমেইল সিগনেচারের জন্য প্রাথমিক উপাদান
একটি ইমেইল সিগনেচার সাধারনত দুটি কাজ করেঃ
- পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
- পাঠকের কাছে আপনার সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করে।
এখানে একটি ভালো ইমেইল সিগনেচারের কিছু উপাদান দেয়া হলোঃ
- নাম, পদবী এবং কোম্পানী। আপনার নাম পাঠককে জানায় যে কে এই ইমেইলটি পাঠিয়েছে। আপনি যদি কোনও কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করেন, তাহলে আপনি আপনার নাম ও কোম্পানিতে আপনার পদবী অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
- যোগাযোগের তথ্য। যোগাযোগের তথ্যে আপনার ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটও অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। কমপক্ষে একটা ফোন নম্বর এটাতে অন্তর্ভুক্ত করবেন। আপনার ইমেইল ঠিকানাও এতে রাখতে পারেন, যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন এটা অপ্রয়োজনীয়।
- সোশ্যাল লিঙ্ক। ইমেইল সিগনেচারে সোশ্যাল লিঙ্কের ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সবচেয়ে পেশাদার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টটি এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। লিঙ্কড-ইন হতে পারে ভালো উদাহরণ। এক্ষেত্রে মজা করে তৈরি বা অসামঞ্জস্য কোনও একাউণ্টের লিঙ্ক দিবেন না।
- লোগো (ঐচ্ছিক)। আপনি যদি কোনও কোম্পানির জন্য কাজ করে থাকেন অথবা আপনার নিজস্ব ব্যবসা থেকে থাকে, তাহলে আপনার ইমেইল সিগনেচারে চাইলে আপনার লোগোটি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
- ফটো (ঐচ্ছিক)। অনেক ইমেইল সিগনেচারের সাথে প্রেরকের ছবি থাকে। এটা আপনার পাঠককে ইমেইল ঠিকানার সাথে সাথে ছবি জুড়ে নিতে সাহায্য করবে।
- রেস্পন্সিভ ডিজাইন। স্মার্টফোন এবং অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। এতে হয়তোবা আপনার ইমেইল গ্রাহক কোন মোবাইল ডিভাইসে আপনার ইমেইলটি খুলে দেখতে পারে। রেস্পন্সিভ ডিজাইন মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সহায়ক হবে।
- আইনী বিষয়াদি। বেশ কিছু দেশে কিছু নির্দিষ্ট আইনী বিষয় আছে যেগুলো সব ব্যবসায়িক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানা আবশ্যক। আপনার অ্যাটর্নিকে এ ব্যপারে জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে যেই দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি আছে, সেখানে ইমেইল সিগনেচারের ব্যপারে কোনও নির্দিষ্ট আইন-কানুন আছে কিনা।
আপনার ইমেইল সিগনেচারটি খুব বেশী বড় করবেন না বা এতে অতিরিক্ত তথ্য যোগ করবেন না। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে ইমেইল গ্রাহকরা ইমেইল সিগনেচারে অতিরিক্ত তথ্য যুক্ত করলে সেগুলো সাধারণত এড়িয়ে চলে। উদাহরণস্বরূপ, একটি অথবা দুটি ফোন নম্বরই যথেষ্ট।
এছাড়াও, অপ্রাসঙ্গিক তথ্য যেমন দীর্ঘ উদ্ধৃতি বা বিতর্কিত মতামত যোগ করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এগুলো আসলে আপনার ইমেইল সিগনেচারে কোনও কাজে আসবে না। উপরন্ত উদ্ধৃতি প্রদান আপনার পাঠককে অপমান বা বিরক্ত করতে পারে—যার ফলে আপনি সম্ভাব্য ব্যবসা হারাতে পারেন।
৯ টি ইমেইল সিগনেচার টিপস (উদাহরণসহ)
আজকাল পেশাদার ইমেইল সিগনেচার আপনার ও আপনার ব্যবসা সম্পর্কে একটি বিবৃতি তৈরি করে। এটা ব্যবসায়িক কার্ড বা ষ্টেশনারী সামগ্রীর মতই আপনার ব্যাক্তিগত ব্রাণ্ডিংয়ের অংশ। এই কারণেই আপনার ইমেইল সিগনেচারটি সঠিকভাবে রাখা প্রয়োজন।
ইমেইল সিগনেচার টেম্পলেট এক্ষেত্রে আপনাকে একটি স্মরণীয় ও তথ্যপূর্ণ ইমেইল সিগনেচার তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। এই বিভাগে, আমি এনভেটো মার্কেট থেকে পাওয়া ইমেল সিগনেচার টেমপ্লেটগুলির একটি অনুপ্রেরণীয় নমুনা সহ, নয়টি ইমেল সিগনেচার টিপস শেয়ার করছি। এই টিপস অনুসরণ করে আপনার ব্যবসায়িক প্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ইমেইল সিগনেচার খুব সহজেই পেতে পারেন।
১। এটাকে সাধাসিধা রাখুন
আপনি হয়তো “যত কম তত বেশী” এই প্রবাদ বাক্যটি শুনে থাকবেন। এ কথাটি আপনার ইমেইল সিগনেচারের ক্ষেত্রে সত্য হতে পারে। আপনার ইমেইল সিগনেচারে যদি অনেক লেখা বা তথ্য থাকে তাহলে আপনার পাঠক এতে বিরক্ত ও বিচ্ছিন্নবোধ করতে পারে। এছাড়াও কিছু কোম্পানী তাঁদের ব্যবসায়িক ইমেইলসমূহ ইমেইল সিগনেচারে দিয়ে রাখে।
এখানে সাধারণ ইমেইল সিগনেচার টেম্পলটের দুটি উদাহরণ দেওয়া হলো যা কোন কর্পোরেশন বা ছোট ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে মান সম্পন্ন।



আপনি যদি সাধারণ এবং সংক্ষিপ্ত ইমেইল সিগনেচার ব্যবহার করতে চান তাহলে এখানে যথেষ্ট পরিমান তথ্য প্রদান করুন যাতে প্রাপক আপনার পর্যন্ত পৌঁছুতে পারে।
২। সামাজিক হউন
সোশ্যাল মিডিয়া আপনার পাঠকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, যেটা একইসাথে টেকসই ব্যবসায়িক সম্পর্কের অংশ হতে পারে।
যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন, তাহলে আপনি যেই সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্কগুলো দিবেন তা পেশাদার হতে হবে। যদি আপনার একটিই সোশ্যাল মিডিয়া একাউণ্ট থাকে, তবে আপনি সেটা ভাল করে দেখে নিতে পারেন এবং কোন অপেশাদার পোস্ট থাকলে তা মুছে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে বন্ধুদের সহায়তাও নিতে পারেন যারা আপনার বাজে পোস্টগুলো সম্পর্কে আপনাকে অবহিত করতে পারে।
এই পেশাদার ইমেল সিগনেচার টেমপ্লেটগুলোতে সামাজিক মিডিয়ার তথ্যসহ দুটি উদাহরণ দেখানো হলো। এখানে দুটিতে সোশ্যাল মিডিয়া তথ্যসহ এবং একটিতে তথ্য ছাড়া নমুনা উদাহরণ দেখানো হয়েছেঃ



ব্যবসায়িক পেশাদারদের অনেক বড় একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় আছে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগের সুবিধা রাখেন, তাহলে আপনি পাঠকদের কাছে প্রসংশিত হবেন।
৩। একটি মার্জিত ছবি
আপনি যদি আপনার ইমেইল সিগনেচারে একটি ছবি ব্যবহার করেন তাহলে এটি পেশাদার হতে হবে। সেলফি অথবা অন্যান্য ফটো থেকে ছাঁটাই করা ছবি ব্যবহার করবেন না।
আপনার ইমেল সিগনেচারে ছবি থেকে সর্বাধিক সহায়তা পেতে এখানে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
- ইমেজটি ছোট হতে হবে। একটা ইমেজ যদি অনেক বড় হয় তাহলে সেটা লোড হতে অনেক বেশী সময় লাগবে।
- ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডটি সাদামাটা হতে হবে। হিজিবিজি ব্যাকগ্রাউণ্ড দর্শককে বিভ্রান্ত করবে।
- পেশাদার পোশাক-পরিচ্ছদ পরুন। আপনার চুল এবং সাজসজ্জা যাতে পেশাদার হয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত হউন।
- ক্যামেরার দিকে সহাস্যবদনে সরাসরি তাকিয়ে থাকুন।
- পুরোদেহের ছবি না তুলে শুধুমাত্র মাথার ছবি তুলুন। (পুরোদেহের ছবিতে আপনার মুখ অনেক ছোট দেখাবে।)
এই ইমেইল সিগনেচার ডিজাইন টেম্পলেটটিতে আপনার ফটোগ্রাফের জন্য নির্দিষ্ট স্থানধারক আছেঃ



ইমেইল সিগনেচারের সাথে ছবি দেওয়া প্রায়ই বন্ধুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়ে থাকে। এটি গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ আছে এমন প্রফেশনালদের জন্য অন্যতম পছন্দ হতে পারে। যারা বিক্রয় প্রতিনিধিত্ব করে, ফ্রিল্যান্সার অথবা কাস্টমার সাপোর্টে আছেন তাঁদের জন্য বেশ কিছু উদাহরণ দেয়া হলো।
৪। রঙ বেছে নিন
গ্রাহকের মনোযোগ আকৃষ্ট করতে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে রঙের ব্যবহার। পাঠকরা সাধারণত রঙ্গিন সিগনেচারের দিকে বেশী মনোযোগ দিয়ে থাকে।
আপনি চাইলে আপনার সিগনেচারের রঙ পরিবর্তন করতে পারেন। যদিও অনেক বেশী রঙের ব্যবহার আপনার সিগনেচারটিকে বাচ্চাসুলভ বা হালকা করে তুলতে পারে। এখানে রঙের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গাইডলাইন দেয়া হলোঃ
- একটি অথবা দুইটি রঙ বেছে নিন যেগুলো, একটি অন্যটির পরিপূরক এবং এর সাথে লেগে থাকুন।
- কখনই খুব বেশী রঙ ব্যবহার করবেন না
- (বেগুনী অথবা কমলার মত) টকটকে রঙ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন যদি না এই রঙগুলো আপনার ব্র্যান্ডের অংশ হয়ে থাকে।
- যদি আপনি সৃজনশীল ক্ষেত্রে থাকেন তাহলে উজ্জ্বল রঙ বেছে নিতে পারেন। অন্যথায় অপেক্ষাকৃত অভিজাত রঙ নির্বাচন করুন।
- যেই রঙটি আপনি নির্বাচন করবেন তা যেন আপনার অন্যান্য ব্র্যান্ডেড উপকরন যেমন ওয়েবসাইট, ষ্টেশনারী অথবা বিজনেস কার্ডের সাথে মানানসই হয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত হউন।
নিচের দুটি ইমেইল সিগনেচারে উজ্জ্বল রঙের কার্যকর ব্যবহার করা হয়েছে। এই রঙ্গিন ইমেইল সিগনেচার টেম্পলেটে উপলব্ধ ১০০ শত টেম্পলেটের মধ্যে অন্যতম একটি টেম্পলেটঃ



একটি ভালো ও রঙ্গিন ইমেইল সিগনেচার নিশ্চিতভাবেই মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে থাকে। রঙের ব্যবহার বেশীরভাগ ব্যবসার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। সৃজনশীল পেশাদাররা উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে তাঁদের উপস্থিতি সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
৫। সাদা ও কালোর ব্যবহারে স্বতন্ত্র হয়ে উঠুন
টকটকে রঙের ব্যবহার বেশ কিছু ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের জন্য একেবারেই মানানসই নয়। অতিরিক্ত রঙের ব্যবহার কর্পোরেট পলিসির নিয়ম-বহির্ভূত হতে পারে। অথবা এটা আনুষ্ঠানিক ব্যবসায়িক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দৃষ্টিকটু মনে হতে পারে।
আপনি অতিরিক্ত রঙের ব্যবহার করতে পারবেন না তার মানে এই নয়, যে আপনার পেশাদার ইমেইল সিগনেচারটি আকর্ষণীয় হবে না। সাদা এবং কালো সিগনেচারও রঙ্গিন সিগনেচারের মত কার্যকর হতে পারে। ইমেইল সিগনেচারটিকে দৃষ্টিনন্দন করার মূল চাবিকাঠি এর ডিজাইন এবং ফন্টের ব্যবহারের মধ্যে লুকায়িত আছে।
পরিচ্ছন্ন ফণ্ট, এবং পরিমিত খালি জায়গার ব্যবহারে স্বতন্ত্র ডিজাইন খুঁজছেন কি। এখানে এমন একটি সাদা এবং কালো ডিজাইন টেম্পলেটের উদাহরণ দেয়া হলোঃ



কালো এবং সাদা ইমেইল সিগনেচারটি আরও বেশী রক্ষনশীল অথবা ফরমাল মনে হতে পারে। আপনি যদি অর্থনীতি অথবা আইনের মত ফরমাল পেশায় থাকেন তাহলে এটা ব্যবহার করতে পারেন। ডিজাইনের উপর নির্ভর করে একটি সাদা এবং কালো সিগনেচার বেশ আধুনিক হিসেবেও অনুভুত হতে পারে।
৬। প্রচুর বিকল্পের ব্যবস্থা
যেহেতু আপনার ইমেইল সিগনেচার আপনার ব্র্যাণ্ডের প্রতিনিধিত্ব করে, তাই বিকল্প পছন্দ করে নেয়ার সুযোগ থাকা ভালো। আপনার ইমেইল সিগনেচারটি যদি কখনও পরিবর্তন করতে হয় তবে সেই সুযোগ রাখাও ভালো।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি আপনার ক্যারিয়ার অথবা কোম্পানি পরিবর্তন করেন তবে, আপনার ইমেইল সিগনেচারটি যেন আপনার নতুন অবস্থানটি যথাযথভাবে প্রতিফলিত করে। এছাড়াও আপনি যদি আপনার বর্তমান ব্যবসা ব্রাণ্ডিং অথবা রিব্র্যান্ডিং করেন তাহলে ব্যবসার চূড়ান্ত রূপ দিতে একটি নমনীয় টেম্পলেট বেছে নেয়াই উত্তম।
নীচের পরিবর্তনযোগ্য সিগনেচার টেম্পলেটে আছে ১০ টি রঙসহ ৫০ টি ডিজাইন, যেখান ৫০০ এরও অধিক অনন্য ইমেইল সিগনেচার থেকে বেছে নেয়ার সুবিধা আছে। এখানে কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হলোঃ



তাই, আপনি যদি খুব দ্রুত আপনার ইমেইল সিগনেচার পরিবর্তন করতে চান, তাহলে যেকোনো টেম্পলেট যেন আপনার প্রয়োজনীয় পরিবর্তন যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
৭। কর্পোরেট চেহারা
আপনি যদি কোনও ব্যবসা অথবা সংস্থার কাজ করে থাকেন, তাহলে সম্ভবত আপনার ইমেইল সিগনেচারে আপনি বেশ পোশাকী চেহারা নিয়ে আসতে চাইবেন। একইসাথে আপনি হয়তোবা আপনার কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের লোগো বা ট্রেডমার্কও ইমেইল সিগনেচারে রাখতে চাইবেন।
মনে রাখবেন, ব্যাবসায়িক ইমেইল যা আপনার কোম্পানির লোগোসহ পাঠানো হয় তা সরাসরি আপনার কোম্পানিরই প্রতিনিধিত্ব করে। তাই ইমেইল সিগনেচারের সাথে সাথে আপনার কর্পোরেট মান বজায় রাখাও জরুরী, যাতে নীচের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত আছেঃ
- গোপনীয়তা বিবৃতি। অনেক কোম্পানিই এটা প্রত্যেকটি কর্পোরেট ইমেইলের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী মনে করে।
- কর্পোরেট রঙ এবং ফন্টের ব্যবহার। কর্পোরেট কমিউনিকেশন মানসম্পন্ন করে তুলতে, আপনার কোম্পানি রঙ এবং ফন্টের ব্যবহার সীমিত রাখতে বলতে পারে।
- কর্পোরেট লিঙ্ক। আপনার কোম্পানি হয়তো চাইবে যে আপনি যেন তাঁদের ওয়েবসাইট লিঙ্ক ব্যবহার করেন এবং তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্কের পরিবর্তে আপনার নিজস্ব লিঙ্ক ব্যবহার করেন।
- ঠিকানা। কর্পোরেট ইমেইলে সাধারণত মূল কর্পোরেট অফিসের ঠিকানা দেয়া থাকে।
কিছু কিছু দেশে ব্যবসায়িক ইমেইলে বেশ কিছু উপাদান যোগ করার ব্যপারে আইনী বিধিনিষেধ আছে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাজ্যে বেশ কিছু ব্যবসায়িক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইনী বিধিনিষেধ আছে। এই আইনগুলো ইমেইলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ব্যবসায়িক আইনী বিধিনিষেধ সম্পর্কে অভিজ্ঞ এমন একজন অ্যাটর্নি নিয়োগ করে দেখতে পারেন আপনার এলাকায় প্রযোজ্য এমন কোনও বিধিনিষেধ আছে কিনা।
নীচের কর্পোরেট ইমেইল সিগনেচার টেম্পলেটে এমন দশ ধরণের ইমেইল সিগনেচারের উদাহরণ দেখানো হলো যার সবগুলো একইরকম পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুভুতির প্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। এখানে দুটি উদাহরণ দেয়া হলোঃ



৮। ইমেইল তৈরি করার মাধ্যম ব্যবহার করুন
অনলাইন এডিটরের মাধ্যমে ইমেইল সিগনেচার টেম্পলেট ব্যবহার করুন। এটা আপনাকে আপনার ইমেইল সিগনেচার তৈরি ও পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে, এজন্য, কোনও কোডিং দক্ষতা অথবা HTML জ্ঞানের প্রয়োজন নেই।
এজন্য আপনি একটি ইমেইল সিগনেচার বিল্ডার ব্যবহার করতে পারেন, এবং খুব সহজেই আপনার টেক্সট সম্পাদনা, রঙ পরিবর্তন, সোশ্যাল লিঙ্ক এবং কোম্পানি লোগো যুক্ত করতে পারেন, এবং আপনার পরিবর্তিত ফলাফল খুব সহজেই ইমেইলে যুক্ত করতে পারেন।
Otrion e-signature builder এমনই একটি অনলাইন এডিটর, যাতে এসব সুযোগ সুবিধা আছে এবং সম্পূর্ণ রেস্পন্সিভ ফলাফল প্রদান করে।



৯। আধুনিক সুবিধা যুক্ত করুন
একটি আধুনিক ইমেইল সিগনেচার ডিজাইন খুব সহজেই অনেক ব্র্যান্ডের সাথে মানিয়ে যায়। মসৃণ, পরিচ্ছন্ন ফন্টের ব্যবহার এবং তাজা চেহারা খুব সহজেই যেকোনো ডিজাইনের সাথে মিশে যায়, এক্ষেত্রে কোনও ধরণের সংকোচ অনুভূত হয় না।
যদি আপনার মনে হয় কোন আধুনিক ডিজাইন স্টাইল আপনার ব্যবসার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, তাহলে নীচের বেশ কিছু বিবেচনা করে দেখতে পারেনঃ
- নিখুঁত ও পরিপাটি চেহারা
- খাঁটি ও পরিচ্ছন্ন ফন্টের ব্যবহার (যেকোনো ধরণের স্ক্রিপ্ট বা ক্যালিগ্রাফি লেখা এড়িয়ে চলুন)
- সমতল বা আধা সমতল ডিজাইন (কোনও টেক্সচার বা থ্রি-ডি দৃষ্টিভঙ্গি এড়িয়ে চলুন)
- উজ্জ্বল রঙের হালকা ছোঁয়া
- কিছুটা বড় লেখা
এখানে বেশ কিছু অনন্য আধুনিক ইমেইল সিগনেচার স্টাইল দেখানো হলোঃ



যেকোনো কোম্পানির প্রগতিশীল চেহারা ফুটিয়ে তুলতে আধুনিক ইমেইল সিগনেচার স্টাইলগুলো গুরুত্বপূর্ণ। টেকনোলজি ফার্ম বা সৃজনশীল পেশাদার উভয়ের জন্যই এগুলো খুব কাজের।
আপনার পরবর্তী ধাপ
পরবর্তী ধাপে একটি আকর্ষণীয় পেশাদার ইমেইল সিগনেচার তৈরি করুন। শুরু করার জন্য ভালো জায়গা হতে পারে এনভেটো মার্কেটের ইমেইল সিগনেচার টেম্পলেটগুলো। এগুলোতে ডজনেরও বেশী ডিজাইন দেয়া আছে, যেখান থেকে বেছে নেয়া যায়।
যখন আপনি নিজস্ব পেশাদার ইমেইল সিগনেচার তৈরি করেন, তখন যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখবেনঃ
- সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্ক
- আবক্ষ ছবি
- সাধারন ডিজাইন রাখা অথবা আধুনিক ডিজাইন বেছে নেয়া
- রঙ্গিন ডিজাইন বেছে নেয়া অথবা সাদাকালো ডিজাইন রাখা
- কর্পোরেট অথবা আইনী মানসমূহ
- একটি টেম্পলেট অথবা ইমেইল সিগনেচার বিল্ডার ব্যবহার করা।
পরিশেষে কিছু টিপস
যখন আপনি সৃজনশীল ইমেইল সিগনেচার তৈরি করে ফেলবেন, তখন এটা সর্বদা হালনাগাদ রাখবেন। প্রায়ই লিঙ্ক, ফোন নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য চেক করে দেখতে পারেন, যে এগুলো ঠিক আছে কিনা। যদি প্রয়োজন হয় তবে পূর্বের লিঙ্ক পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন অথবা নতুন করে তথ্য যোগ করতে পারেন।
কোন ইমেইল সিগনেচারে যদি পুরনো তথ্য থাকে তাহলে আপনার ব্র্যাণ্ড অথবা ব্যবসায়ের জন্য এটা খারাপ হতে পারে।
