Bengali (বাংলা) translation by Shakila Humaira (you can also view the original English article)
ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় একটি প্রতিক্রিয়াশীল বা রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট নকশা ব্যবহার করা এখন আর কোনও ঐচ্ছিক বিষয় নয়। লেম্যানের মতে, একটি রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট ডিজাইন আপনার ওয়েবসাইটকে যে কোন ডিভাইস থেকে ভালোভাবে প্রদর্শন করতে এবং আপনার ভিজিটরদেরকে আপনার সাইটের কনটেন্টসমূহ ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৮০% শতাংশেরও বেশি মানুষের স্মার্টফোন আছে। তাই এই বিবেচনায় আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইনটিকে অবশ্যই রেস্পন্সিভ হতে হবে। ২০১৬ সালের মোবাইল মার্কেটিং স্ট্যাটিস্টিক অনুযায়ী, ৫৭% ব্যবহারকারী এমন কোনও ব্যবসার সুপারিশ করে না যা বাজেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এবং ৮৮% কাস্টমার মোবাইল ডিভাইস থেকে খোঁজার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কোনও লোকাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কল করে অথবা কেনাকাটা করতে যায়।
উপরের তথ্যগুলো বিবেচনা করলে, সহজেই বুঝতে পারবেন কেন আপনার তথ্যগুলো সব ধরনের ডিভাইস থেকে প্রবেশযোগ্য হওয়া জরুরী। আর এজন্যই অসংখ্য রেস্পন্সিভ থিম থেকে যেকোনও থিম বেছে নিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটটিকে রেস্পন্সিভ করে নিতে পারেন।
এই টিউটোরিয়ালে, আমি আপনাকে দেখাবো কিভাবে একটি রেস্পন্সিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম বেছে নিতে হয়, তারপর কিভাবে এই থিমটি আপনার সাইটে ব্যবহার করবেন। এরই সাথে রেস্পন্সিভ ডিজাইন সম্পর্কে আরো জানতে ও আপনার নিজস্ব রেস্পন্সিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করার জন্যও বেশ কিছু রিসোর্সও প্রদান করবো।
কিভাবে একটি রেস্পন্সিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম বেছে নিবেন
যখন আপনি আপনার সাইটের জন্য একটি প্রতিক্রিয়াশীল/রেস্পন্সিভ থিম খুঁজে বের করবেন, তখন আপনাকে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। আপনার শিল্পের উপর ভিত্তি করে, সঠিক থিমে বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে কেবল আকর্ষণীয় ডিজাইনই নয় সাথে সাথে প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক, যা আপনার ভিজিটরকে পন্য সম্পর্কে আরও জানতে এবং আপনার গ্রাহকে রুপান্তর করতে সাহায্য করবে।
এখানে আপনার সাইটের জন্য একটি রেস্পন্সিভ থিম খুঁজে বের করার কিছু মূল বিষয় দেয়া হলো, যা থিম কেনার আগে অবশ্যই দেখবেন।
১। বৈশিষ্ট্যসমূহ বিবেচনা করুন
বৈশিষ্ট্যর ক্ষেত্রে, আপনি হয়তোবা এমন একটি থিম খুঁজবেন যাতে আপনার শিল্পের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ আছে। যেমন, আপনি যদি একটি ক্রিয়েটিভ এজেন্সির মালিক অথবা ডিজাইনার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার এমন একটি থিমের প্রয়োজন হবে যা আপনার পোর্টফলিও ও পূর্বের ক্লায়েন্টের টেস্টিমনিয়ালসমূহ প্রদর্শন করতে পারবে।
আপনি যদি পণ্য বিক্রি করতে চান, তবে এমন একটি থিম বেছে নিন যাতে ইকমার্স প্লাগিন অথবা প্রাইসিং টেবিল প্রদর্শন করা যায়। একইভাবে, যদি আপনি আপনার সাইট থেকে ক্লায়েন্টের জন্য বুক করার সামর্থ্য রাখতে চান, তাহলে এমন একটি থিম বেছে নিন যাতে বিল্ট-ইন বুকিং ফর্ম আছে।
ভাগ্য ভালো যে, আমাদের কাছে আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিন্ন ভিন্ন শিল্পের জন্য নির্দিষ্ট ওয়ার্ডপ্রেস থিম পাবেন, যা প্রয়োজনীয় ফিচারসহ এবং রেস্পন্সিভ ডিজাইনের চাহিদা পূর্ণ করবে।
২। কাস্টমাইজেশন অপশনসমূহ চেক করুন
আপনি হয়তোবা এমন একটি থিম চাচ্ছেন যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজেশন অপশন আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, আপনার থিমটিতে সেটিংস প্যানেল থাকবে যা দিয়ে আপনি রঙ, ফন্ট কাস্টমাইজ করতে পারবেন এবং লোগো আপলোডসহ আরও অনেক কিছু করা যায়। যদি ভিন্ন ভিন্ন লে-আউট দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান তাহলে এমন একটি থিম বেছে নিন যাতে পেজ বিল্ডার আছে অথবা আপনার পেইজ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের লেআউট কনফিগার করার সুবিধা আছে।
৩। আকর্ষণীয় ডিজাইনসহ একটি রেস্পন্সিভ থিম খুঁজে বের করুন
অবশেষে, আপনার ওয়েবসাইটটি যেমন দেখতে চান তার অনুরূপ একটি আকর্ষণীয় ডিজাইনের থিম সন্ধান করুন। এর ফলে খসড়া থেকে কোন পেইজ লেআউট তৈরি করার জন্য অতিরিক্ত সময় সাশ্রয় হবে এবং আপনার জন্য কাস্টমাইজ করা সহজ হবে।
পছন্দমত রেস্পন্সিভ থিম খুঁজে পাওয়ার পর আপনাকে তা কিনতে ও আপনার কম্পিউটারে যিপ ফাইল আকারে ডাউনলোড করতে হবে। থিম ফরেস্ট ও এনভেটো এলিমেন্ট থেকে আপনি আপনার পছন্দমত রেস্পন্সিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে বের করুন:
- ওয়ার্ডপ্রেস২০১৭ সালের জন্য ২০ টি সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রিমিয়াম ওয়ার্ডপ্রেস থিমব্র্যাণ্ডা ব্যারন
- নিউজএনভেটো এলিমেন্টে এখন থিম এবং প্লাগিনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে!এন্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
কিভাবে রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন
থিম পাওয়ার পর এখন আপনার রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট তৈরি করার পালা। আপনাকে এবার একটি ডোমেইন নাম ও হোস্টিং প্লান কিনতে হবে যাতে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ও আপনার পছন্দের থিম ইন্সটল করতে পারবেন।
তার আগে সাইটের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করে নিন যাতে আপলোড করার সময় কন্টেন্টের জন্য সময় নষ্ট না করে কেবল কপি পেস্ট করেই ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে পারেন।
১। একটি ডোমেইন নাম
এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে ওয়েবসাইটের জন্য একটি ডোমেইন নাম ক্রয় করা। এর ফলে ভিজিটর ও কাস্টমাররা সহজেই আপনার ওয়েবসাইটটি ওয়েবে খুঁজে পাবেন। তাই এমন একটি নাম বেছে নিন যা আপনার ব্যবসা অথবা ব্র্যাণ্ডের প্রতিনিধিত্ব করে। যদি সম্ভব হয়, আপনার ডোমেইন নামটি .COM এক্সটেনশনসহ নিতে চেষ্টা করুন। এছাড়াও আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নাম ব্যবসার নাম অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিতে পারেন অথবা ব্যক্তিগত পোর্টফলিও, ব্লগ অথবা রেজ্যুমের ক্ষেত্রে আপনার নিজের নাম ব্যবহার করতে পারেন।
২। একটি হোস্টিং প্লান
ডোমেইন নাম ঠিক করা ও কেনার পর, এখন আপনাকে একটি হোস্টিং প্লান বেছে নিতে হবে যাতে মানুষ সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে। হোস্টিং এর ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী থেকে শুরু করে শেয়ারড প্লান, বেশ ব্যয়বহুল ম্যানেজড ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং প্লানসহ আরো অনেক ধরনের অপশন পাবেন।
যদি আপনি কিভাবে শুরু করবেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হোন, তাহলে এনভেটো হোস্টেড ব্যবহার করতে পারেন। এনভেটো হোস্টেডে আপনি মাসিক $19USD (+ applicable taxes) তে পাচ্ছেন প্রিমিয়াম ম্যানেজড ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং। এর আসল সুবিধা হলো আপনি এতে আপনার পছন্দসই থিমসহ ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল এবং সেটআপ করতে পারবেন এবং আপনার সাইটটি সেটআপ করার টেকনিক্যাল দিকগুলোর দেখভাল করতে পারবেন।
এনভেটো হোস্টেড প্লানে আপনি যা পাবেন:
- ১০০,০০০ লাখেরও বেশী ইনকামিং ট্রাফিক ভিজিট, ৫ জিবি ডিস্ক স্পেস, এবং প্রতি মাসে ১০০ জিবি ব্যান্ডউইথ।
- প্রতিদিন ব্যাকআপ, সার্ভার সিকিউরিটি, এবং সাইট মনিটরিং এর সুবিধা, একই সাথে আমাদের ওয়ার্ডপ্রেস বিশেষজ্ঞ টিম থেকে সার্বক্ষণিক অনলাইন সাপোর্ট।
৩। কন্টেন্ট এবং ইমেজ
সবশেষে, কিছু সময় নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করুন। এগুলো সাধারনত ইমেজ, এবং আপনার About, Services অথবা Work With Us পেইজের জন্য নির্দিষ্ট কন্টেন্টসমূহ হয়ে থাকে। আপনার কোম্পানিতে যদি বিভিন্ন বিভাগ থেকে থাকে তবে প্রতিটি বিভাগ পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের বায়ো এবং হেডশট রাখার ব্যাপারটি বিবেচনা করুন যাতে আপনার ভিজিটররা সহজেই যোগাযোগ করতে পারে।
বেশির ভাগ মডার্ন থিমে আগে থেকেই সাজানো বেশ কিছু ডেমো কনটেন্ট থাকে, যার পরিবর্তে আপনার নিজস্ব কন্টেন্ট বসিয়ে আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস থিমটি সাজিয়ে নিতে পারেন।
কিভাবে আপনার সাইট তৈরি করবেন
সবকিছু তৈরি করার পর, এখন আপনার সাইট তৈরি করার পালা। প্রথমে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হবে। তারপর আপনি আপনার থিম, প্রয়োজনীয় প্লাগিন ইন্সটল করতে পারবেন এবং থিম সেটআপ ও কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
এই টিউটোরিয়ালের জন্য, আমরা ওশাইন রেস্পন্সিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করবো। ওশাইন থিমে এমন একটি আধুনিক ও রেস্পন্সিভ ডিজাইন আছে যা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। এতে ৩০+ ডেমো আছে যা এক ক্লিকেই ইম্পোর্ট করা যাবে এবং আপনার ওয়েবসাইট খুব দ্রুত সেটআপ করতে ব্যবহার করা যাবে।

১। ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা
আগেই বলেছি প্রথম ধাপ হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা। আপনার হোস্টিং কোম্পানি থেকে একটি ইমেইল পাঠানো হবে যাতে আপনার হোস্টিং একাউন্টের ড্যাশবোর্ড এর লিংক অথবা কন্ট্রোল প্যানেল এর সাথে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড থাকবে। প্রদত্ত লিংকে ক্লিক করুন এবং আপনার তথ্যগুলো প্রবেশ করান।
লগইন করার পর আপনি WordPress Install, One-click Installers, Softaculous Installers বা এই ধরনের একটি সেকশন খুঁজে পাবেন। এখান থেকে ওয়ার্ডপ্রেস আইকনটি খুঁজে বের করুন ও তাতে ক্লিক করুন এবং প্রদত্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন একটি স্ক্রীন ভেসে উঠবে যাতে আপনার সাইট নেম এবং বিবরণ এবং আপনার পছন্দের ইউজার নেম পাসওয়ার্ড ও ইমেইল প্রবেশ করতে বলা হবে। খালি জায়গা গুলো আপনার তথ্য দিয়ে পুরণ করুন এবং ইনস্টল বাটনে চাপুন।
কয়েক মিনিট পর ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল হবে মানে হচ্ছে এখন আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ডে লগইন করতে পারেন। এবার খুব সহজেই লিঙ্কে যান (এর পরিবর্তে আপনার নিজস্ব ডোমেইন নাম ব্যবহার করুন) এবং ইন্সটল করার সময় দেয়া ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড প্রবেশ করান।
২। একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল করুন
ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড থেকে Appearance > Themes > Add new লিংকে যান এবং Upload Theme ক্লিক করুন।

ডাউনলোড করা জিপ ফোল্ডারটি খুঁজে বের করুন যাতে থিমের ফাইল সমূহ আছে এবং তা আপলোড করুন। ইনস্টল করা হয়ে গেলে একটিভেট ক্লিক করুন।
৩। দরকারি প্লাগিনসমূহ ইনস্টল করা
থিম এক্টিভেট করার পর আপনি ড্যাশবোর্ডে থিমটি এর সব ফাংশনালিটি সহ চালু করতে বেশ কিছু প্লাগিন ইন্সটল করার জন্য একটি নোটিফিকেশন পাবেন। Begin installing plugins লিংকটিতে ক্লিক করলে সরাসরি ইনস্টলেশন স্ক্রিনে চলে যাবেন।

নপ্লাগিনগুলো সিলেক্ট করার পর ইনস্টল ক্লিক করুন। তারপর Plugins > All plugins > Inactive এ যান এবং সবগুলো ইনএক্টিভ প্লাগিন সিলেক্ট করুন ও ড্রপ ডাউন মেনু থেকে অ্যাকটিভেট অপশন পছন্দ করুন।
কিভাবে আপনার সাইট কাস্টমাইজ করবেন
ওয়েবসাইট সেটআপ করার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে ডেমো কনটেন্ট ইমপোর্ট করা এবং নিজস্ব কনটেন্ট দিয়ে সেগুলো প্রতিস্থাপন করা ও থিম সেটিং মডিফাই করে আপনার নিজস্ব ফন্ট, রং, লোগো এবং অন্যান্য জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা।
১। ডেমো কনটেন্ট ইমপোর্ট করুন
ওয়েবসাইট সেটআপ করার সবচেয়ে দ্রুত উপায় হচ্ছে ডেমো কনটেন্ট ইনস্টল করা। এটা আপনার থিমকে পছন্দের ডেমো অনুযায়ী তৈরি করবে যাতে সমস্ত পেজ তৈরি ও সেট আপ হয়ে থাকবে। আপনাকে শুধু কনটেন্ট সমূহ প্রতিস্থাপন করতে হবে।
এজন্য আপনাকে শুরুতে ওশাইন রেসপনসিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিমে যেতে হবে এবং Import ট্যাব খুলতে হবে। পছন্দের ডেমো ভার্সন সিলেক্ট করুন এবং যে কনটেন্ট আপনি ইন্সটল করতে চান তা বেছে নিন। আমাদের ক্ষেত্রে, আমি সব গুলো কনটেন্ট সিলেক্ট করেছি এবং ইনস্টল বাটনটিতে ক্লিক করেছি। প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং আপনার সাইটটি এবার কাস্টমাইজেশনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ইমপোর্ট প্রক্রিয়া সফল হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে আবারো চেক করে দেখুন।

চলুন, এবার ডেমো কনটেন্ট প্রতিস্থাপন করা যাক। আপনার ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাসবোর্ড থেকে Pages এ যান এবং যেই পেজে কাজ করতে চান তার Edit বাটনে ক্লিক করুন। এই উদাহরণে আমরা আমাদের হোমপেইজ এডিট করবো।
ওসাইন রেস্পন্সিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিমে টাটসু পেজ বিল্ডার ব্যবহার করে পেজ সমুহ তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে এগুলো এডিট করা খুবই সোজা। আপনাকে কেবল Edit With Tatsu বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। যাতে আপনি খুব সহজে লেআউটটি মডিফাই করতে পারেন, এবং অতিরিক্ত মডিউল ও অন্যান্য জিনিসগুলো যুক্ত করতে পারেন।

আপনার পেইজের এলিমেন্ট গুলো এডিট করতে, পেইজের যে অংশটি আপনি এডিট করতে চান তাতে ক্লিক করুন, তারপর আপনার নিজস্ব টেক্সট প্রবেশ করান এবং আপনার পছন্দমত সেটিংস সমন্বয় করে নিন। এছাড়াও আপনি অতিরিক্ত এলিমেন্ট যেমন টেক্সট বক্স, বাটন, আইকন, ভিডিও, ইমেজ এবং অন্যান্য জিনিস যুক্ত করতে পারেন।

২। দৃশ্যমান চেহারা কাস্টমাইজ করা
আপনার নিজস্ব কনটেন্ট সমূহ প্রতিস্থাপন করার পর এখন আপনি আপনার সাইটের চেহারা ও স্টাইল বদলে দিতে পারেন। Oshine Options এ যান এবং আপনার সাইটটি কাস্টমাইজ করুন। আপনি লক্ষ্য করবেন এখানে বেশ কিছু অপশন আছে।
আপনি আপনার নিজস্ব লোগো, এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ আপলোড করতে পারেন। আপনার সাইটে ব্যবহৃত ফন্ট সমূহ কাস্টমাইজ করতে পারেন এবং মোবাইল স্টাইল নিয়ন্ত্রণ করে ফুটার, হেডার এবং অন্যান্য তথ্য সমূহ যুক্ত করতে পারেন। এছাড়াও আপনি গ্লোবাল স্টাইল এর জন্য ডিফল্ট সেটিং কাস্টমাইজ করতে পারেন এবং আপনার কন্টাক্ট ইনফর্মেশন ও ট্রাকিং স্ক্রিপ্ট সমূহ প্রবেশ করাতে পারেন যেমন গুগল এনালাইটিক কোড। সাইটের পারফরম্যান্স অপটিমাইজ করার জন্য আপনার স্টাইলশীট এবং স্ক্রিপ্টসমূহ সংক্ষিপ্ত করতে পারেন।
কিভাবে একটি রেসপনসিভ ওয়েবসাইট থিম বানাতে হয় এবং কেন এটা করতে হবে
একটি প্রিমেড ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করা, সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ করারও একটি চমৎকার উপায়। এছাড়া আপনি নিজস্ব রেসপনসিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করেও আপনার সাইটটি পরবর্তী লেভেলে নিয়ে যেতে পারেন।
এটা বেশ ঝামেলাপূর্ণ মনে হতে পারে। কিন্তু এর ফলে আপনার সাইটের ডিজাইন এবং ফিচারে আপনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আপনি যদি আপনার নিজস্ব রেসপনসিভ থিম তৈরি করতে চান অথবা রেসপনসিভ ওয়েব সাইট ডিজাইন সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান। তাহলে এখানে বেশ কিছু টিউটোরিয়াল দেওয়া হলো যা দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন।
১। নতুনদের জন্য রেসপনসিভ ওয়েব ডিজাইন
এই কোর্সের মাধ্যমে আপনি রেস্পন্সিভ ডিজাইন এর বেসিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। এখানে মোবাইল ফাস্ট পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং রেসপনসিভ ওয়েব ডিজাইন এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন লেআউট সমূহ ব্যবহার ও আরো এডভান্স টপিক যেমন ইমেজ সমূহ রেস্পন্সিভ কিনা তা নিশ্চিত করা এবং মিডিয়া কোয়েরির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস এর লেআউট কন্ট্রোল করার পদ্ধতি সমূহ আলোচনা করা হয়েছে।
২। একটি মোবাইল ফাস্ট রেসপনসিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করা
এই স্টেপ বাই স্টেপ টিউটোরিয়ালে একটি প্রাথমিক থিম নিয়ে তা রেস্পন্সিভ ডিজাইনে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াটি দেখানো হয়েছে। এক্ষেত্রেও মোবাইল ফাস্ট পদ্ধতিটি মাথায় রাখা হয়েছে। এখান থেকে আপনি শিখবেন কিভাবে মোবাইল ডিভাইসে স্টাইলসমূহ যুক্ত করতে হয় এবং ডেক্সটপ ডিভাইসের জন্য স্টাইল এর ক্ষেত্রে ট্রানজিশন ব্যবহার করতে হয়।
৩। মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সহায়ক সাতটি প্লাগিন
এই পোস্টে আপনি সাতটি সহায়ক ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন সম্পর্কে জানবেন যা আপনার সাইটটিকে মোবাইল ডিভাইসের জন্য অপটিমাইজ করতে সাহায্য করবে; এর ফলে আপনি ইমেজ এবং উইজেট সমূহ রেস্পন্সিভ করতে পারবেন এবং আপনার থিমটি রেস্পন্সিভ না হলেও তা মোবাইল ডিভাইসে ভালোভাবে দেখা সম্ভব হবে।
আপনার রেসপনসিভ ওয়েবসাইট তৈরি করতে শুরু করুন
রেসপনসিভ ওয়েব সাইট তৈরি করাবে ঝামেলাপূর্ণ কিন্তু রেসপনসিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম এই কাজটিকে অনেক সহজ করে তুলেছে এমনকি একেবারে নতুনদের জন্যও এটা খুব সহজ। উপরের টিউটোরিয়ালটি আপনি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইনের জন্য অন্যান্য রিসোর্স খুঁজে বের করতে পারেন। এবং আপনার যদি একটি রেসপনসিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম প্রয়োজন হয় তাহলে যেকোনো ইন্ডাস্ট্রির জন্য হাই কোয়ালিটির রেসপনসিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম সমূহের এই কালেকশন টি দেখতে পারেন।
Subscribe below and we’ll send you a weekly email summary of all new Business tutorials. Never miss out on learning about the next big thing.
Update me weeklyEnvato Tuts+ tutorials are translated into other languages by our community members—you can be involved too!
Translate this post