Bengali (বাংলা) translation by Arnab Wahid (you can also view the original English article)
এই সিরিজের বিগত কয়েকটি টিউটোরিয়ালে আমরা দেখেছি, কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে হয়ঃ
- প্রথমে আমরা দেখেছি, প্যাসিভ ইনকাম কি, এটি কিভাবে কাজ করে এবং কেন এই ব্যাপারে আমাদের আগ্রহী হওয়া উচিৎ।
- এরপর আমরা দেখেছি সময়ের বদলে টাকার হিসাব ও অ্যাক্টভ এবং প্যাসিভ ইনকামের মধ্যে পার্থক্য।
- এরপর, আমরা দেখেছি প্যাসিভ ইনকাম লাভজনক কিনা এবং এই কাজ কিভাবে শুরু করতে হয়।
- সব শেষে আমরা দেখেছি, কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়, তার পর এর বিভিন্ন উপায় আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি ২০১৭ সালের আলোকে।
এই টিউটোরিয়ালে আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবো, এবং দেখবো কিভাবে প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া লাভজনক কি না তা খতিয়ে দেখা যায়।
প্রতি আইডিয়া লাভজনক হয় না, বা সবার জন্য লাভের হয়না। কিছু প্রশ্ন করার মাধ্যমে আমরা দেখবো এই আইডিয়া ফলপ্রসূ হয় কিনা। এই গাইডলাইন ফলো করে আপনি এই কাজ করতে পারবেন।
আবার, এটাই একমাত্র গাইডলাইন। আপনার যদি মনে হয় আপনার আইডিয়ায় কাজ হবেই হবে, তাহলে খতিয়ে দেখার রেজাল্ট যাই আসুক, আপনি আইডিয়া ট্রাই করে দেখতে পারেন।
আমি প্রশ্নগুলো ২ সেকশনে ভাগ করেছিঃ
- গঠন, যা প্রোডাক্ট বানানোর ব্যাপারে যাচাই করে দেখে।
- আর মার্কেটিং, কিভাবে প্রডাক্ট সেল হবে সেটা খতিয়ে দেখে।
এই প্রশ্নগুলোত মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, আমরা কিছু আসল প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া ব্যবহার করব। একটি আমি নিজেই ব্যবহার করছিঃ আমার হাস্যকর সাইকোলজি টি-শার্ট।



আপনি যেসব আইডিয়ার কথা চিন্তা করছেন, আসুন সেগুলো খতিয়ে দেখি। যেগুলা বেশি ভালো না সেগুলা বাদ দেই, আর ভালো আইডিয়াগুলা বাছাই করি।
১। নির্মান
বানাতে না পারলে, সেটি সেল করার চিন্তা করে লাভ নেই। তাই যেটা সেল করতে চান, সেটা আপনার বানাবার যোগ্যতা থাকতে হবে। আর সেটার মার্কেটে ভ্যালু আছে কিনা দেখতে হবে। এই ব্যাপারগুলা চেক করে দেখুনঃ
প্রশ্ন ১ঃ আপনি কি কোন সমস্যার সমাধান করছেন?
প্রথমে দেখতে হবে আপনার আইডিয়া আসলেই কাজের কিনা। যদি না হয়, তাহলে সেটা নিয়ে কাজ করা আসলে সময় নষ্ট করা।
আসল কোন সমস্যা সমাধানে কাজ করুন।
আপনার আইডিয়া কাজের কিনা সেটা খতিয়ে দেখার অনেক উপায় আছে। কিন্তু সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে নিজেকে এই প্রশ্ন করাঃ আমার প্রডাক্টে কি কারো কোন সমস্যার সমাধান হচ্ছে?
যদি হয়, তাহলে তারা আপনার প্রোডাক্ট চায়। যদি না হয়, তাহলে এটি কেউ কিনবে না।
আসুন টি-শার্টের আইডিয়াটি দেখি। এটা কোন জটিল সমস্যার সমাধান করেনা। কিন্তু মানুষ মজার টি-শার্ট পছন্দ করে। তাই সাইকোলজি থিমের টি-শার্টের চাহিদা আছে। এটা যুগান্তকারী কিছু না হলেও। মানুষের একটি সমস্যার সমাধান করে।
মনে রাখবেন, ভাঁওতায় কোন সমস্যার সমাধান হয়না।
বাজারি পণ্য দিয়ে কোন সমস্যার সমাধান হয়না, এতা আসলে মনে রাখা দরকার। বাজে বই অ্যামাজনে রেখে গাধাদের দিয়ে সেটা কিনাতে চাইলে, আপনি বেশিদিন টিকতে পারবেন না। এই রকমের কাজ দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম করা উচিৎ নয়।
কিছু শর্ট টার্ম সাকসেস পাবেন। কিন্তু স্ক্যাম করে বেশিদুর এগুতে পারবেন না। তাই আসল কোন জিনিষ, ভালো মানের প্রড্রাক্ট দিয়ে ব্যবসা করা উচিৎ।
সমস্যার সমাধান দিয়েই বেষ্ট প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া আসে। তাই আসল ভ্যালুর কোন জিনিষের কথা ভাবুব, যেটা দিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন।
প্রশ্ন ২ঃ আপনার কি এই কাজ করার যোগ্যতা আছে?
আপনার যদি নিজের যোগ্যতা না থাকে, তাহলে বেষ্ট ইনকাম আইডিয়া দিয়েও কোন কাজ হবেনা। যদি আপনার কোডিং স্কিল বেসিক হয়- যত ভালো অ্যাপের আইডিয়াই আপনার মাথায় আসুক না কেন, আপনি সেটা কোনদিন বানাতে পারবেন না। আর যদি নিজের প্রজেক্ট বানানোর যোগ্যতা আপনার না থাকে, তাহলে সেটা কোনদিন বাস্তবায়ন হবে না।
এখানে দুইটি সাইড নোট আছেঃ
১। পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিন
প্রথমে, যদি নিজের শখের জন্য কিছু শিখতে চান, তাহলে সেটির উপর ভিত্তি করে একটি প্যাসিভ ইনকামের উপায় বের করা একটি ভালো বুদ্ধি। সিরিয়াসলি কোডিং শিখলে নিজের ইচ্ছার অ্যাপ এক সময় আপনি বানাতে পারবেন।
২। বিনিয়োগ করুন
বিনিয়োগ দক্ষতার বিকল্প হয়ে কাজ করে। বড় প্রজেক্টে এই উপায়ে কাজ হয়ে থাকে। যেমন আমি এক ডিজাইনার কে প্রতি টি শার্ট ডিজাইন করতে ২০০ ডলার করে দেই। এটি একটি যুক্তিযুক্ত বিনিয়োগ।
আবার একজন ডেভেলাপারকে দিয়ে একটি অ্যাপ বানিয়ে নিতে দশ থেকে বিশ হাজার ডলার লেগে যেতে পারে। তাই অনেক লাভের আশা না থাকলে, অ্যাপ ফ্রিল্যান্সার দিয়ে বানানো উচিৎ না।
প্রশ্ন ৩ঃ ভালো মত করতে কি দরকার?
টেকনিক্যাল আলোচনা আমরা করলাম। প্রোডাক্ট ভালো হতে হবে, এর চাহিদা থাকতে হবে, তাহলে সেটা চলবে।
কিন্তু ভালোভাবে করতে কি দরকার সেটা ডিপেন্ড করে। যেমন আপনি ভ্রমণকাহিনী লিখলে, আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে। যেমন, আমার টি-শার্টের জন্য মজার মজার কনসেপ্ট দরকার।
টেকনিক্যাল দক্ষতার জন্য কোণ কাজ সিলেক্ট করবেন না। দেখতে হবে সেটি ভালো মত আপনি করতে পারেন কিনা। অনেক ছোট ছোট জিনিষ বিচার করে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
প্রশ্ন ৪ঃ কতক্ষণ সময় লাগবে?
প্যাসিভ ইনকামের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে সময়ের বিনিময়ে টাকা কেনা বাদ দেয়া। তার বদলে বিনিয়োগের মাধ্যমে আয় করা। কিন্তু ভালো ও খারাপ ইনভেস্টমেন্টের মধ্যে পার্থক্য আছে।
যেটা বানাতে দুই দিন লাগবে, সেটার থেকে যেটা বানাতে ৬ মাস লাগবে তা বেশি টাকা ইনকাম করবে এটাই স্বাভাবিক। যদি আপনি বেশি সময় ব্যয় করে কম টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে সেটা ফলপ্রসূ হবে না।
যেমন, আমার টি-শার্টের আইডিয়া দাড়া করিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না এটা আমি জানি। সাথে কিছু অ্যাড ও মার্কেটিং করা লাগবে, কিন্তু সেটা করতেও বেশি সময় লাগবে না। আর অল্প সময়ের জন্য আমার ইনকামও অল্প হবে। বা লাভ না হলেও ক্ষতি হবে না।
প্রশ্ন ৫ঃ এটা কি আসলেই প্যাসিভ ইনকাম প্রজেক্ট?
ফাইনালি, এটা কি আসলেই প্যাসিভ ইনকাম প্রজেক্ট অনেক বড় ও বেশি সময়ের কাজ প্যাসিভ মনে করে অনেকেই ফাঁদে পড়ে যায়। যেমন, অ্যাপ দিয়ে আসলে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়না। এতে অনেক সময়, সাপোর্ট ও মেইনটেইনেন্সের খরচ আছে।
হ্যা, সাকসেসফুল হলে, বিক্রি শুরু হওয়ার পরে টাকা আসা শুরু হবে, কিন্তু, নতুন ফিচার বানানো, আপডেট দেয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি করতে করতে অনেক সময় যাবে। আর ১ বছর পরেও অ্যাপ টিকিয়ে রাখতে চাইলে, সেটা ফুলটাইম জবের মতই সময় নষ্ট করে।
এই দিক দিয়ে আবার আমার টি-শার্ট প্ল্যান অনেক সেইফ। ওগুলা তো আমি নিজের হাতে সেলাই করব না, তাহলে বেশি সময় লাগত। প্রতি ঘণ্টায় এই কাজে দুই তিন ঘন্টা করে দেয়া যথেষ্ট হবে।
২। মার্কেটিং
আপনার ভালো কোন আইডিয়া থাকলে সেটার উপর কাজ শুরু করুন। আর আসুন দেখে নেই সেটার মার্কেটিং করার উপায় কি কিঃ
প্রশ্ন ১ঃ কিভাবে সেল করবেন?
টাকা উপার্জনের জন্য সেল করা লাগবে। এটা জটিল কোন সমস্যা না। কিন্তু কিভাবে সেল করবেন এটা ঠিক করে রাখা উচিৎ।
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থিম বানালে, সেটা থিমফরেস্টে সেল করতে পারেন। ফিজিক্যাল কোন প্রোডাক্ট হলে, সেটা অ্যামাজনের মাধ্যমে সেল করতে পারেন।
আমি টি-শার্ট অ্যামাজন দিয়ে সেল করে থাকি। আবার আমার নিজের ইকমার্স সাইট দিয়েও সেল করে থাকি।
যদি সেল করার কোন উপায় চিন্তা করে না পান, তাহলে সেটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
প্রশ্ন ২ঃ আপনার পণ্যের জন্য মার্কেট আছে?
পণ্যের আগে থেকে মার্কেট থাকলে সুবিধা। লেখকদের প্রথম বই কেউ কিনতে চায় না। কিন্তু স্টিফেন কিং এর পাঠকরা বই বের হওয়ার দিনই হাজার হাজার কপি কিনে পড়ে ফেলেন। আপনার ব্লগ ফলোয়িং বেশি থাকলে, তাদের সাহায্য নিতে পারেন।
আমার একটা সাইকোলজি ডিগ্রি আছে, তাই আমার শার্ট কারা কারা কিনতে চাইবে, আমার আগে থেকেই জানা আছে। মার্কেট বড় না, কিন্তু কিছু হলেও আছে।
প্রশ্ন ৩ঃ মার্কেট আছে তো?
যদি মার্কেটই না থাকে? হাজার হাজার সেলফ পাবলিশড বই অ্যামাজনে ১০ কপিরও কম সেল হয়। লেখকের ফ্রেন্ড না পরিবারের সদস্যরাও সেই বই কেনে না। কোন কাছে টাকা বিনিয়োগ করার আগে এসব ব্যাপার দেখে নিতে হবে। কিন্তু চট করে করার কাজ, আগে করে নিয়ে এরপর মার্কেট খোজা যেতে পারে।
আমার টি-শার্ট ব্যবসা শুরু করতে খরচ বেশি না। কয়েকদিন মার্কেট রিসার্চ করেই, এটা শুরু করে দেয়া যায়।
প্রশ্ন ৪ঃ কিভাবে মানুষ খুঁজবেন?
যদি ফ্যানরা আগে থেকেই আপনার প্রোডাক্ট কেনার অপেক্ষায় না থাকে, তাহলে মানুষ খোঁজার জন্য কিছু মার্কেটিং করা লাগবে। কি করছেন সেটার উপর ভিত্তি করে কয়েকটি কাজ করা জায়ঃ
- বর্তমানে ফেসবুক অ্যাড অনেক জনপ্রিয়। স্পেসিফিক গ্রুপ টার্গেট করে অ্যাড দিতে পারেন।
- গুগল অ্যাড সমান জনপ্রিয়।
- মানুষকে অ্যাফিলিয়েট স্কিম দিয়ে অন্যদের কাছে সেল করার জন্য ইন্সপায়ার করা যায়।
- ব্লগিং করে প্রোডাক্টের কথা ছড়িয়ে দেয়া যায়। এঁকে অর্গানিক মার্কেটিং বলে।
এছাড়াও মার্কেটিং এর অনেক আইডিয়া আছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরে আমরা শুধু কিছু উদাহরণ দিলাম। পরে এই ব্যপারে অন্য কোন টিউটোরিয়ালে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমার টি-শার্ট বিজনেসের জন্য আমি ফেসবুক অ্যাড ব্যবহার করব। আমি কিছু অর্গানিক মার্কেটিংও ব্যবহার করব। ফেসবুকের সাইকোলজি পেজগুলোর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এটা হচ্ছে টি-শার্টের প্রথম খসড়াঃ



সবকিছু গুছিয়ে আনা
এই পর্যন্ত পৌঁছে গেলে, আপনি এতক্ষণে এই বিষয়ে অনেক জ্ঞান রাখেন। সব কিছু ঠিক মত না হলেও, মোটামুটি ঘুছিয়ে আনা গেলে এই বিজনেস সাকসেসফুল হওয়ার আশা থাকে।
কম খরচ ও কম শ্রমের কাজে রিস্ক কম থাকে। আবার অনেক বড় ওয়েবসাইট বানানোতে অনেক রিস্ক বেশি। টি-শার্টের গ্যারান্টিড মার্কেট না থাকলেও, এটা এত দ্রুত ও কম খরচে করা যায়, যে এটা একবার ট্রাই করে দেখতে কোন ক্ষতি নেই। এটা করতে কয়েক মাস সময় ও কয়েক লক্ষ টাকা লাগলে আমি আরো ভেবে দেখতাম এটা করা উচিৎ হবে কি না।
ব্যার্থতার জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। আইডিয়া যত ভালোই হোক। সবকিছু ঠিক মত করা গেলেও, মাঝেমাঝে ব্যবসায় সবই ব্যার্থ হয়। তাই শক্ত হতে হবে। আর এই কাজ বাদ দিয়ে অন্য কাজে মনোযোগ দতে হবে।
ভালো আইডিয়া থাকলে সেটার উপর কাজ শুরু করুন। দেখুন আপনার প্যাসিভ ইনকাম আজকে থেকেই শুরু করতে পারেন কিনাঃ
এই টিউটোরিয়াল থেকে আপনি উপকৃত হলে, সেটা আমাদের অবশ্যই জানাবেন।
Subscribe below and we’ll send you a weekly email summary of all new Business tutorials. Never miss out on learning about the next big thing.
Update me weekly