Advertisement
  1. Business
  2. Small Business

কিভাবে একজন সফল ক্ষুদ্র ব্যবসা মালিক হবেন

Scroll to top
Read Time: 8 min

Bengali (বাংলা) translation by Arnab Wahid (you can also view the original English article)

নতুন বিজনেস শুরু করতে চাইলে, আপনি নিশ্চই জানেন স্মল বিজনেস ফেলিওর রেট কত বেশি।

অনেকে শুরুর আগেই হাল ছেড়ে দেয়। গ্যালাপ এর এক সার্ভেতে দেখা গেছে, এক চতুর্থাংশ আমেরিকান ব্যবসা শুরু করার চিন্তা করলেও পরে না শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে ৬৬% জানান যে ফেলিওর রেট বেশি দেখে তারা ঝুঁকি নিতে চান না।

কিন্তু হতাশ হবেন না। শুরু থেকে সব ঠিক মত করলে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

Become a Successful Small Business OwnerBecome a Successful Small Business OwnerBecome a Successful Small Business Owner
Discover how to become a successful small business owner.

এই টিউটোরিয়ালে আমরা দেখব কিভাবে ব্যবসা সঠিক উপায়ে শুরু করতে হয়। এবং সব কাজ সঠিক উপায়ে করে দ্রুত মুনাফা অর্জন শুরু করা যায়।

এই টিউটোরিয়ালের শেষে ব্যবসা কনফিডেন্টলি শুরু করে রান করার মত জ্ঞান আপনার থাকবে।

১। নিজেকে এই প্রশ্ন করুন

বিজনেস শুরু করার সময় সবাই অনেক এক্সাইটেড থাকে। সময় নষ্ট না করে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে।

কিন্তু একটা সামান্য প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই ক্লিয়ার থাকা উচিৎ। দরকারে সেটা লিখেও রাখুন, যেন পরে দরকারে রিভাইস দিতে পারেন।

কেন বিজনেস শুরু করছেন?

অদরকারী মনে হলেও এই প্রশ্নের উত্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই বলে, "জব ভালো লাগে না ব্যাবসা করব", বা "টাকার জন্য"। দুইটাই ভালো উত্তর, কিন্তু আরেকটু গভীরে গিয়ে ভাবুন। এই ব্যবসা কেন? এই আইডিয়া কেন পছন্দ আপনার? যদি বিজনেস সফল হয়, তবে কি অর্জন করবেন?

এই প্রশ্নের উত্তরে বোঝা যাবে আপনার আসল প্যাশন কিসে। ক্ষুদ্র ব্যবসায় দফতরি কাজে বিরক্ত হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। যেন লক্ষ্যচ্যুত না হয়ে যান, খেয়াল রাখতে হবে।

আপনার অফার কি?

আপনার মিশন স্টেটমেন্ট রেডি করুন। পাফফেক্ট উত্তর না হলেও যেন তা সহজবোধ্য হয় খেয়াল রাখুন।

আপনার বন্ধু বা প্রতিবেশী আপনাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে যেন আপনার উত্তর তারা বুঝে আগ্রহী হতে পারে। নিখুঁত হতে হবেনা, কিন্তু একটা স্যাম্পল উত্তর রেডি রাখুন। আপনার উত্তর শোনার পর কি তারা এই ব্যাপারে আরও জানতে আগ্রহী হবে? এরপর দেখুন মানুষ সে উত্তর শুনে আগ্রহী হয়, নাকি বিরক্ত হয়?

উদাহরণস্বরূপ, এটা এমাজনের মিশন স্টেটমেন্টঃ

Our vision is to be Earth's most customer centric company; to build a place where people can come to find and discover anything they might want to buy online.

এমাজনকে আপনার পছন্দ বা অপছন্দ যাই করেন, তাদের মিশন স্টেটমেন্ট পরিস্কার। এবার নিজেরটা লিখে ফেলুন, কাস্টমারকে কি অফার করছেন, তা ব্যাখা করুন।

আপনার কাস্টমার কে?

কি অফার করছেন তা পরিস্কার হলে, এইবার ভাবুন, এই জিনিষ কার জন্য?  কাস্টমার এভেটার তৈরি করুন। তাদের নাম, বয়স, জেন্ডার, পছন্দ, অপছন্দ ইত্যাদি প্রোফাইল করুন।

কাস্টমার এভেটার আজকাল অনেক পপুলার হয়ে গেছে। এই ব্যাপারে আপনি আগে থেকে না জানলে এই টিউটোরিয়ালটি পড়ে দেখুন।

আপনি কি কাজে পারদর্শী?

ব্যবসার কাজে আপনি নিজে পারদর্শী হলে সেটা সব সময়ই লাভজনক। যেমন, ডিজাইন স্টুডিওর ব্যবসা হলে, যদি আপনি জানেন কিভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হয়।

কিন্তু ব্যবসায় সফল হতে গেলে অন্যান্য স্কিলও দরকার। কমিউনিকেশন স্কিল, নিগোশিয়েশন স্কিল, বিজনেস প্রোমোশন ইত্যাদি।

তাই একটা সেলফ ইনভেন্টরি করুন। এইটা শুধু আপনার নিজের জন্য, তাই অনেস্টলি উত্তর দিন। আপনি কি পারেন? আর কি পারেন না? আপনার স্ট্রেংথ ও দুর্বলতা কি?

নিজের দুর্বল দিকগুলো সামলানোর জন্য প্ল্যান করতে হবে। ফাইন্যান্স যদি না বোঝেন, এমন পার্টনার নিতে হবে যে এটা ভালো বোঝে। অথবা একাউন্টেন্স হায়ার করতে হবে। বা নিজেকেই সেই কাজ শিখে নিতে হবে। নিজে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে না পারলে, পারে এমন একজনকে হায়ার করতে হবে।

মূলমন্ত্র হচ্ছে নিজের স্ট্রেংথ এর সর্বোচ্চ ইউটিলাইজ করা, আর নিজের দুর্বলতা দরকারী সাপোর্ট স্ট্রাকচার দিকে পূরণ করা।

আরও বিস্তারিত বুঝতে এই টিউটোরিয়ালগুলো পড়ে দেখতে পারেনঃ

২। প্রয়োজনীয় সাহায্য অনুসন্ধান

বিজনেস একা সামলাতে পারবেন না। অধিকাংশ নতুন ব্যবসা শুরু করা মানুষ এই ভুল করে। এই ভুল আপনার এড়াতে হবে অবশ্যই।

একজন মেন্টর খুঁজে বের করুন। সফল উদ্যোক্তারা সকলে এই কাজ করে থাকেন। বিল জর্জের এই উক্তিটি ফেসবুকের ফাউন্ডার মার্ক জাকারবার্গের উদ্দেশ্যেঃ

People always ask, How does he have the wisdom of someone 20 years older? The answer is, he sought out really good mentors, early on.

মার্কের সকল মেন্টরের মধ্যে একজন ছিলেন স্টিভ জবস, আবার স্টিভ জবসের মেন্টর ছিলেন  বিল ক্যাম্পবেল

কিভাবে মেন্টর খুজতে হয় আর কিভাবে সেই রিলেশন ম্যানেজ করতে হয়, তা জানতে লিসা হান্টারের কিভাবে মেন্টর খুঁজবেন টিউটোরিয়ালটি পড়ে দেখুন।

বিশ্বস্ত এডভাইজরদের নিয়ে একটা পার্সোনাল এডভাইজরি বোর্ডও গঠন করতে পারেন। সাপোর্ট এখানেই শেষ হয় না। লোকাল বিজনেস এ্যাসোসিয়েশন, নেটওয়ার্কিং গ্রুপ খুঁজে বের করুন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং করুন।

সেলফ হেল্পার কথা ভুলবেন না যেন! আমাদের ওয়েবসাইটে বিজনেস নিয়ে লেখা নানা রকম আর্টিকেল পড়েও অনেক কিছু শিখতে পারেনঃ

৩। ব্যবসার জন্য ফান্ডিং

জরিপে দেখা গেছে ব্যবসা অসফল হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে টাকার অভাব।  

কিন্তু এটা অখণ্ডনীয় সমস্যা না। ব্যবসায় ফান্ডিং পেতে বিভিন্ন অপশন যাচাই করে দেখুন। অথবা বুটস্ট্র্যাপিং মেথডে ব্যবসা চালাতে পারেন।

ব্যবসা লাভজনক হতে কিছুটা সময় লাগে, এটা মাথায় রাখুন। সেই সময় আসার আগে পর্যন্ত কিভাবে ব্যবসা চলবে, সেতার একটা ফাইন্যান্সিয়াল মডেল তৈরি করুন।

আপনার যদিও মনে হয়, যে যত টাকা আছে, সেটা ব্যবসা শুরু করার জন্য যথেষ্ট, তার পরেও অন্যান্য ফান্ডিং অপশনের কথা মাথায় রাখুন। কারণ, স্কটিশ কবি রবার্ট বার্ণস বলেছেনঃ

The best laid schemes o' mice an' men / Gang aft a-gley.

মনে রাখবেন, কখনই সবকিছু প্ল্যান মোতাবেক হয় না। কিছু না কিছু আনএক্সপেক্টেড হয়ই। সবকিছু ঠিক মত করেও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সেটার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন।

তাই এইসব জটিলতা সামলাতে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা ভালো। এর জন্যই বিপদে পড়ার আগেই ফান্ডিং যোগাড় করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। এর মানে এই না যে আপনার অযথা ইন্টারেস্ট পে করতে হবে। লাইন অন ক্রেডিট সেটাপ করে রাখতে পারেন। যখন দরকার হবে, তখন যেন ফান্ডিং এর অভাব না হয়। সে যাই হোক, আগে আগেই এই অপশনটি রিসার্চ করে রাখা ভালো।

৪। ক্যাশ ফ্লো জাম্প স্টার্ট

শুরুতে সবাই ব্যবসায় খুব সাবধানে খরচ করে, যেন সব ফান্ড হুট করে শেষ না হয়ে যায়।

এটা কার্যকর স্ট্র্যাটেজি, কিন্তু আরেকটা ভালো উপায় হচ্ছে দ্রুত মুনাফা আয় করা শুরু করা।

যেমন, ইন্টারনেট স্টার্টআপের জন্য স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে জোত দ্রুত সম্ভব প্রোডাক্ট লঞ্চ করা, যেটা ট্যাডিশনাল ব্যবসার বিপরীত। নিখুঁত কিছু করার চাইলে, ফাংশনাল কিছু বাজারজাত করে তা ইমপ্রুভ করা বেটার স্ট্র্যাটেজি।

এই উপায়ে খুব দ্রুত মুনাফা আনা শুরু করা সম্ভব।

এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পড়ুন The Lean, Agile Way to Build Your First Product.

আপনার ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসার জন্য যদি এই স্ট্র্যেটেজি আপনার পছন্দ না হলেও, মুনফা দ্রুত আনার আরেকটা উপায় আছে। সার্ভিস বেসড বিজনেসে, একেবারে কাজের শেষে পেমেন্ট না নিয়ে কাজ চলাকালীন কিস্তিতে পেমেন্ট নেয়া। লং রানিং প্রজেক্টের জন্য এটা খুবই লাভজনক মডেল। যারা আর্লি কাস্টমার, বা আর্লি রেজিস্টার করা কাস্টমারদের ডিসকাউন্টও অফার করতে পারেন।

যত দ্রুত লাভ আসা শুরু হবে, তত দ্রুত বিনিয়োগের টাকা উঠে আসবে আর বিজনেস গ্রোথ সম্ভব হবে।

৫। ব্যবসার প্রচার করা

কেউ জানেনা যে আপনার ব্যবসা আছে, বা সেটা কি করে।

ইন্টারনেট মার্কেটিং এর জন্য আজকাল এই সমস্যার সমাধান অনেক সহজ হয়ে গেছে। সেগুলো অনেকগুলাই ফ্রি বা সস্তা, কিন্তু কত সময় লাগবে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। সব সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রমোশন করতে গিয়ে বেশি সময় যেন নষ্ট না হয় খেয়াল রাখতে হবে।

একটা প্ল্যান তৈরি করুন, মার্কেটিং প্ল্যান স্ট্র্যাটেজি অনুসারে কাজ করুন। আর ফ্রি মার্কেটিং এর সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করুন।

বিস্তারিত জানতে আমাদের মার্কেটিং টিউটোরিয়াল পড়ে দেখুনঃ

৬। রেসপনসিবিলিটি নিতে শিখুন

আমরা ডাটা এজে বসবাস করি। ২০১০ সালে গুগলের প্রাক্তন সিইও বলেছিলেন জে গুগল দুই দিনে বিশ্বের সকল ইতিহাসের চেয়ে বেশি ডাটা জেনারেট করে। আর এই গ্রোথ সামনের দিনে আরও বাড়বে

যদিও ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিদিন টেরাবাইট বা এক্সাবাইট ডাটা জেনারেট করবেনা, তাও এনালাইজ করার জন্য যথেষ্ট ডাটা ঠিকই জেনারেট হবে। যেমন আপনার কাছে ডিটেইল ফিন্যান্সিয়াল রেকর্ড, কাস্টমার রেকর্ড ট্রাফিক ডাটা ইত্যাদি থাকবে।

অবশ্য আপনি সব ডাটা ট্র্যাক করতে পারবেন না। সেটা সম্ভব না। কিন্তু আপনার বিজনেস মনিটর করার জন্য ও বিজনেস গোল আপডেট করার মত ডাটা আপনার ট্র্যাক করা উচিৎ। বিস্তারিত জানতে আমাদের এই সিরিজের কি কি ম্যাক্ট্রিক বিজনেসের ট্র্যাক করা দরকার টিউটোরিয়ালটি পড়ুন।

কিভাবে মাইলস্টোন সেট করবেন, বা বিজনেসের অবজেকটিভ মডিফাই করবেন প্ল্যান করুন। মাসিক চেকলিস্ট মেইনটেইন করে এই কাজটি সহজেই করা যায়। আর এই সব কাজ আপনার বিজনেস প্ল্যানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।

৭। গ্রোথ ও ডাইভার্সিটি

অনেক বিজনেসই প্রথমে কোন প্রোডাক্ট ছাড়াই শুরু হয়। যদি ওই মেথডে ব্যবসা মুনাফা করতে থাকে, তবে যা করছেন, সেটা মেইনটেইন করুন। কিন্তু ফাস্ট মুভিং বিজনেস সিনে যেন পিছিয়ে না পরেন সেই খেয়ালও রাখতে হবে।

এর একটা ভালো উদাহরণ এনভাটো, জে কোম্পানি এই সাইট চালায়। ১০ বছর আগে যখন এই কোম্পানি শুরু হয়, তখন তারা শুধু এডোব ফ্ল্যাশ এসেট বিক্রি করত।

কিন্তু গত কয় বছরে অনেক গ্রোথ হওয়ায়, কোম্পানি নাম চেঞ্জ করে ফ্ল্যাশডেনের পরিবর্তে এনভাটো হয়ে যায়। আর মার্কেটপ্লেসে অন্যান্য অনেক রকম প্রোডাক্ট সেল শুরু হয়।

শুধু ফ্ল্যাশ এসেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে, কোম্পানি ডাইভার্সিটি বৃদ্ধি করে। ওয়ার্ডপ্রেস থিম, মিউজিক ফাইল, গ্রাফিক্স সহ আরও অন্যান্য জিনিষ সেল করাও শুরু করে।

এইটা তাদের বিজনেসের জন্য একটি ভালো স্ট্র্যাটেজি ছিলো। ফ্ল্যাশের ব্যবহার ২০১১ এর পরে অনেক কমে গেছে, ২০১৫ তে এসে আগের সেল অর্ধেকে ড্রপ করেছে। ফলে এনভাটো একটিভডেন গত বছর ক্লোজ করে দেয়।

How the ActiveDen website looks todayHow the ActiveDen website looks todayHow the ActiveDen website looks today
ডাইভার্সিটি না থাকলে এনভাটোও আজকে শেষ হয়ে যেত।

কিন্তু মাল্টিপল ইনকাম স্ট্রিম থাকার ফলে, তারা আজও সাকসেসফুল বিজনেস রান করছে। আপনার বিজনেস কিভাবে ডাইভার্সিভাই করা যায় ভাবুন।

ভবিষ্যতে আপনার ব্যবসা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, আগেই যাচাই করুন। এখন আপনার যা প্রোডাক্ট, সেটা কিভাবে মাল্টিপল ইনকাম স্ট্রিমে রুপান্তর করা যায়, প্ল্যান করুন। তাহলে একটা স্ট্রিম ফেল করলেও, অন্যগুলো দিয়ে ব্যবসা টিকে থাকতে পারবে, মুনাফা সম্পূর্ণ নষ্ট  হবে না।

ক্ষুদ্র ব্যবসায় সফলতা

কিভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায় সফল হওয়া যায়, তার একটি হাই লেভেল ওভারভিউ ছিলো এই আর্টিকেলটি। এখানে দেখলেন, কিভাবে ফান্ডিং পেতে হয়, আর কিভাবে বিজনেস গোল সেট করা যায়।

এছাড়াও অন্যান্য বেশ কিছু টপিক আমরা আলোচনা করেছি এখানে। সেসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই সিরিজের অন্যান্য আর্টিকেল পড়ে দেখুন। সামনেও এই সিরিজের অনেক আর্টিকেল নিয়ে আমরা আপনাদের কাছে হাজির হব!

Advertisement
Did you find this post useful?
Want a weekly email summary?
Subscribe below and we’ll send you a weekly email summary of all new Business tutorials. Never miss out on learning about the next big thing.
Advertisement
One subscription. Unlimited Downloads.
Get unlimited downloads