Bengali (বাংলা) translation by Arnab Wahid (you can also view the original English article)
আগের টিউটোরিয়ালে, কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে হয় - অ্যাক্টিভ ইনকামের বাইরে আয় - এবং তা থেকে কিভাবে আয় করতে হয় স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য।
যদিও আইডিয়া ভালো, কিন্তু প্যাসিভ ইনকাম দিয়ে আয় নিশ্ছিত করতে অনেককিছু ভেবে নেয়া লাগে। এই টিউটোরিয়ালে আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।



প্যাসিভ ইনকাম সোর্স অপটিমাইজ করুন
প্যাসিভ ইনকাম প্রজেক্ট থেকে ইনকাম শুরু করতে সব সময় বেশি বেশি সেল করা লাগে এমন না, আরো ইফেক্টিভ ভাবে ব্যবসা করতে পারলেও তা করা সম্ভব। অপচয়ের চেয়ে সাশ্রয় করা সহজ বেশি।
১। অতিরিক্ত খরচের দিকে খেয়াল রাখুন
প্রথমেই যেটা খেয়াল করতে হবে, সেটা হচ্ছে কিভাবে অতিরিক্ত খরচ বাঁচানো যায়। এটা অনেক ভাবেই করা যায়। যেমনঃ
- আপনার ব্লগের হোস্টিং যতটুকু দরকার, তার চাইতে বেশি খরচ করছেন কি?
- ফেসবুক অ্যাডে বেশি খরচ করছেন?
- আপনি কি কোন প্রিয়িমায় সার্ভিসের জন্য টাকা খরচ করছেন যেটা আগে রিসার্চের কাজে লাগত কিছু এখন লাগেনা?
- কোন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট রেখেছেন যেটা এখন আর ব্যবহার করছেন না?
- যেখানে ড্রপবক্সের কাজ্ হত, সেখানে কি অন্য কোন দামী ক্লাউড হোস্টিং এর জন্য খরচ করছেন?
- কাপড় চোপড়ে বেশি খরচ করছেন?
খরচ কমানোর অনেক উপায় রয়েছে। সব অপচয় একসাথে হিসাব করলে দেখা যাবে বছরে কয়েও হাজার থেকে কয়েক লাখও নষ্ট হয়। এসব ব্যাপারে মনযোগী হতে হবে।
দামী সার্ভসগুলো সস্তা বিকল্প খুঁজে বের করুন। সেগুলো ব্যবহার করুন। ব্যবহার খরচ কমবে। আর বেশি দরকার না হলে সেগুলো ব্যবহার একেবারেই বাদ দিয়ে দিন। কোন জিনিষ কেনার আগে দামাদামি করুন। এটাতে অনেক সময় টাকা সেভ হয়।
২। কাজ অটোমেট করুন
আমরা আগের এক টিউটোরিয়ালে দেখেছিলাম কিভাবে সময়ের বিনিময়ে টাকা কামানো বন্ধ করতে হয়, সময় অনেক মুল্যবান। টাকার বদলে একবার সময় চলে গেলে আর ফেরত পাবেন না। টাকা নষ্ট করা এক ব্যাপার। অনেকে প্যাসিভ ইনকামে সময়ও নষ্ট করে। মনে রাখতে হবে, এগুলা প্যাসিভ ইনকাম।
কি করছেন, কেন করছেন, তার ফলাফল কি পাচ্ছেন তা নোট করে রাখুন। কয়েক সপ্তাহ পরে অডিট করুন। দেখুন কত সময় কিসে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে ভালো ধারনা নিন।
দেখবেন কিছু জিনিষ সবচেয়ে বেশি সময় লাগে করতে। জেমনঃ
- সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাড শিডিউল করা
- কাস্টমার সাপোর্ট
- বাগ ফিক্স
- সার্ভিস ফি আর বিল প্রদান
কিভাবে সময় যায় লিস্ট করে ফেলার পর, কাজগুলো অটোমেট করার চেষ্টা করুন।
অ্যাড শিডিউল করতে সপ্তাহে কয়েক ঘন্টা লাগলে সেট অ্যাড কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করুন। তাহলে কয়েক সপ্তাহে মাত্র কয়েক ঘন্টা লাগবে। সামান্য টাকা কম আসবে, কিন্তু সময় বাচবে।
কাস্টমার সাপোর্টে অনেক সময় গেলে, সার্ভিস ম্যানুয়েল লিখে ফেলুন, যেটা থেকে কাস্টমার নিজের প্রশ্নের জবাব পাবে। এটা না পরে কেউ প্রশ্ন করলে তার মেইলের উত্তর দেয়া লাগবে না। যারা ম্যানুয়েলে উত্তর না পেয়ে প্রশ্ন করবে, তাদের জবাব দিন।
বাগ ফিক্সে বেশি সময় গেলে, ডেভেলাপার ভাড়া করে কাজ সেরে নিন।
নিজ হাতে সব বিল দেয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা বন্ধ করুন। ব্যাংকে সব বিলের জন্য ডায়রেক্ট ডেবিট সেট করুন। এতে বিল দেয়া নেয়া অটোমেট হবে।
এভাবে কাজ করতে থাকুন। যখন কোন কাজেই ডায়রেক্ট ইনপুট দরকার হবে না। তখন সেটা আসলেই প্যাসিভ হবে। সবকিছু একবার ঠিক হলে, আবার টাইম অডিট করুন, কিন্তু এইবার ৩ মাস পরে। ৩ মাস পর আবার সব এসেস করুন। এরপর কয়েক মাস পরে আবার।
আয় বৃদ্ধি
টাকা ও সময় বাঁচালে, যেই সব কাজ অটোমেট করা যায় না, সেগুলো নিয়ে কাজ করুন। সেগুলো থেকেই ইনকাম বাড়বে।
১। কাস্টমার ম্যানেজমেন্ট
নিজের সাইড অপটিমাইজ করার পরের কাজ হচ্ছে, কাস্টমারের সাইড অপটিমাইজ করা। কারণ সেটাও আপনার ব্যবহার বাকি অর্ধেক।
কাস্টমারের সাথে কথা বলুন। তাদের ফিডব্যাক নিন। তারা আপনার ব্যবসার ব্যাপারে কি বলে জানুন। এটা এভাবে জিজ্ঞেস করুনঃ
- তারা যা খুঁজছে সেটা কি সহজে খুঁজে পাচ্ছে?
- আদের যা যা তথ্য দরকার, তাদের কি সে সব দেয়া হয়েছে?
- সময় কি বেশি লাগছে?
- তাদের কি অতিরিক্ত ট্যাক্স বা ফি নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে?
শপ অ্যানালিটিক্স এর ডাটা নিয়েও দেখে এসব বোঝার চেষ্টা করুন। দেখুন এসবের জন্য কোন সেল মিস হচ্ছে কিনা।
ভালো আইডিয়া নিয়ে এসবের উপর কাজ করুন। সেলস অপটিমাইজ করুন। কাস্টমারদের ফেস করা ইস্যু সলভ করুন। ওয়েবসাইটে কি ৩ টা পেজ দরকার আছে? নাকি ১ টা দিয়েই কাজ হয়? প্রাইস আর অন্যান্য ব্যাপার পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে তো?
এ-বি টেস্টিং সফটওয়্যার দিয়ে সাইটের দুইটা ভার্শন টেস্ট করে দেখতে পারেন, কোন ভার্শনে বেশি ভালো কাজ হয়। কোন কিছু নিয়ে সন্দেহ থাকলে এই টেস্টিং দিয়ে সেটা দূর করা সম্ভব।
মানুষের জন্য পণ্য কেনা জতটা সম্ভব সহজ করে দিতে হবে। অনেকেই আগে থেকেই কিনতে ইচ্ছুক। কেনার উপায় সহজ হলে কিনতে সবাই আগ্রহী হবে বেশি।
২। নতুন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ট্রাই করা
মার্কেটিং হচ্ছে প্রোডাক্ট প্রোমোট করার উপায়। এটা গেস্ট ব্লগিং থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন সহ অনেক কিছু হতে পারে। নতুন নতুন মার্কেটিং পন্থা ট্রাই করে দেখুন দুইয়েকটা করে। যেটা কাজ করেনা সেটা বাদ। যেগুলা কাজ করে সেগুলা রাখবেন কাজ করতে।
এখানে কিছু আইডিয়া দেয়া হলঃ
- গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস, টুইটার অ্যাডস ইত্যাদি।
- ব্লগারদের সাথে গেস্ট ব্লগিং এর ব্যাপারে কথা বলুন।
- অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম সেট করুন। ব্লগারদের সেই ব্যাপারে জানান।
- একটা পডকাস্ট শুরু করুন। সফল মানুষের সাক্ষাৎকার দিন সেখানে।
- আগের কাস্টমারদের ডিসকাউন্ট অফার করে ইমেইল দিন। তারা নতুন কাস্তমার রেফার করলেই ডিসকাউন্ট পাবে।
নতুন মার্কেটিং আইডিয়া ট্রাই করুন। করলে, সেলস বাড়ে।
৩। মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের আরওআই যাচাই করা
নতুন মার্কেটিং চ্যানেল টেস্ট আউট করে দেখুন এক মাসের জন্য। এরপর ভাবুন সেটা রেগুলার করবেন নাকি বাদ দিবেন। সব কিছুই ট্রাই করে দেখতে হবে। কাজ না হলে সেটা বাদও দিতে শিখতে হবে।
সকল মার্কেটিং সোর্স ট্রাই করে দেখুন। এরপর দেখুন কোনটা দিয়ে কটা প্রোডাক্ট সেল হল। সবগুলো থেকে ভালো গুলো বেছে আলাদা করা একতু জটিল কাজ অবশ্য।
কিভাবে মার্কেটিং আরওআই ট্র্যাক করতে হয় শিখে নিন। টুটস+ এ এই ব্যাপারে কিছু আর্টিকেল রয়েছেঃ
- কন্টেন্ট মার্কেটিংকন্টেন্ট মার্কেটিং মেট্রিক্সঃ আরওআই ক্যালকুলেশনঅ্যান্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
- সোশ্যাল মিডিয়াকিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া আরওআই ট্র্যাক করতে হয় (বেটার রেসাল্ট পেতে)ব্রেন্ডা ব্যারন
এই সবে কত টাকা আয় ও ব্যয় হয় সেটা হিসাব করে কত সময় গেল সেটার সাথে তুলনা করে দেখতে হবে। যদি মার্কেটিং এ আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়, তাহলে সেটা সিরিয়াসলি ভেবে দেখতে হবে। তার চেয়ে মার্কেটিং না করে অল্প সেল করাও লাভজনক হবে।
মার্কেটিং অপশন আইডেন্টিফাই করার পরে, দেখতে হবে কিভাবে মুনাফা বৃদ্ধি করা যায়। আবারও আয় ও ব্যয় মেপে দেখতে হবে। এক সময় না এক সময় এসবের লিমিটে পৌঁছে যাবেন। তখন এসব করা বন্ধ করে কাজে মন দিতে হবে।
যদি এমব হয়, ১০০ টাকা অ্যাডে খরচ করে ১৫০ ইনকাম হল, তাহলে ভালো। কিন্তু যদি ১৫০ টাকা খরচ করে ১৫১ টাকা আয় হয়, তাহলে এত কষ্ট করে লাভ নেই। অ্যাড দেয়া বন্ধ করে দিতে হবে। কিভাবে আয় বাড়ানো যায় সেটা আবার নতুন করে ভাবতে হবে।
যদিও মার্কেটিং দরকারী, একই সাথে এটা অনেক জটিলও। উৎসবেও সেল দেয়া যায়, কিন্তু তার আগে বুহজতে হবে কিভাবে উৎসবের সাথে আপনার পণ্য রিলেট করতে হবে। কয়েক সপ্তাহ পর পর চেক করে দেখুন কত করে আয় হচ্ছে। যদি, কিছু কাজে না আসে বাদ দিন। যদি কিছু কাজে আসে, সেটা আরও ইউটিলাইজ করুন।
৪। সম্পূরক পণ্য বিক্রি করুন
যেই পণ্য বেশি সেল হয়, সেটার সম্পূরক কিছু বিক্রি করুন। এতে সহজেই বিক্রি বাড়বে। আয়ও বেশি হবে। যা বিক্রি হয়, তাতে রঙ এর অপশন দিতে পারেন। বিভিন্ন সাইজে দিতে পারেন। বিভিন্ন ফরম্যাটে দিতে পারেন। যেমন একই ডিজাইনের টি শার্ট হাফ হাতা ও ফুল হাতা বিক্রি করতে পারেন। বই লিখলে, সেটা অডিওবুক বানিয়ে ফেলুন। টিশার্টের ডিজাইন দিয়ে একটা পোস্টারও বানিয়ে ফেলুন।
এই কয়টা সামান্য কাজ সহজেই আপনার আয় বাড়িয়ে দিতে পারে।
৫। আগের কাস্টমারদের কাছে নতুন পণ্য বিক্রি করুন
পুরোনো কাস্টমাররাই বেষ্ট কাস্টমার
কারণ তারা আগেই আপনার ব্যবসায় আয় করে দিয়েছে। এরপর যাই কিনবে, সেটা উপরি মুনাফা।
অস্থায়ী কিছু বিক্রি না করলে, যেমন ওয়ান টাইম গ্লাস বা প্লেট, একই কাস্টমার একই পণ্য বার বার কিনবে না। কিন্তু অন্য পণ্য কিনতে আগ্রহী হবে।
প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া কিভাবে ইভ্যালুয়েট করতে হয়, সেটার জন্য একটি আর্টিকেল ও কিভাবে প্যাসিভ ইনকামের একাধিক সোর্স বানাতে হয় তার উপর আরেকটি আর্টিকেল রয়েছে।
শেষের কথা
বেশি প্রফিট করার দুইটা উপায় আছে। অপচয় রোধ ও মুনাফা বেশি। এই হচ্ছে এই আর্টিকেলের সারমর্ম।
অপচয় কমান। গোছানো ব্যবসা করুন। সেটা করার পর, বেশি বিক্রির চেষ্টা করুন। সেটার পর পুনরায় বিক্রি। এই হচ্ছে ফর্মুলা।
Subscribe below and we’ll send you a weekly email summary of all new Business tutorials. Never miss out on learning about the next big thing.
Update me weekly