কিভাবে বিজনেস গ্রোথের ৫টি ধাপ ম্যানেজ করবেন
Bengali (বাংলা) translation by Arnab Wahid (you can also view the original English article)
আপনার ব্যবসা যদি এখন রমরমা চলা অবস্থায় থাকে, তাহলে অভিনন্দন। কিন্তু সবাই এই জিনিষ ভাগ্যের উপর ভিত্তি করে অর্জন করতে পারেনা, স্মল বিজনেস গ্রোথের যে ভিন ভিন্ন ধাপ রয়েছে সেগুলো ঠিকভাবে ম্যানেজ করলেই ব্যবসা সফল করা পর্যন্ত টিকে থাকা যায়।
ব্যবসায়ী হিসেবে এই ধাপগুলো ম্যানেজ করতে আপনার স্ট্র্যাটেজি রেডি করতে হবে, এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কিভাবে অতিক্রম করবেন, তা প্ল্যানিংও করে প্রস্তুত থাকতে হবে।
এই টিউটোরিয়ালে আমরা দেখবো, কিভাবে বিজনেস গ্রোথের পাঁচটি ধাপ ম্যানেজ করতে হয়। করার সময় সাধারণত সবারই কি কি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। আর সেগুলো কিভাবে সমাধান করতে হয়।
বিজনেস গ্রোথ কি সেটা অনেকে অনেকভাবে ব্যাখা করে থাকেন। যেমন, বিজনেস গ্রোথের সেভেন-স্টেজ মডেল। কিন্তু এখানে আমরা নিল সি চার্চের প্রণীত ফাইভ স্টেজ মডেল ফলো করব। এটা প্রথমে ১৯৮৩ সালে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল।



চার্চিল ও লুইসের মতে, ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্যারেক্টারিস্টিক্স অনেক রকমভাবে একটা অন্যটার চেয়ে ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু সব ব্যবসাতেই কিছু সমস্যা কমন থাকে। সেগুলো উপর ভিত্তি করেই এই ধাপ গুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।



আসুন দেখে নেই প্রথম ধাপটি কিঃ
১। অস্তিত্ব
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটা কি হতে পারে। এই ধাপটি হচ্ছে একেবারে শুরুতে যখন ব্যবসা স্টার্ট হয়, তখন লোক পরিচিতি ও টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ।
চ্যালেঞ্জ
এই ধাপের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নির্ধারণ করা যে আপনার পণ্যের চাহিদা কি মার্কেটে আছে? কনজিউমার কি আপনার দেয়া সেবা চাচ্ছে কি না? এটা নিশ্চিত করার পরেই আপনি পরের ধাপে এগিয়ে যেতে পারবেন। যদি না হয়, তবে মূলধন ফুরিয়ে গেলেই আপনার ব্যবসা থুবড়ে পড়বে, আর এগুতে পারবেন না।
এই ধাপে, আপনি কত টাকা আয় করেন সেটা মুখ্য না। আপনার কতজন কাস্টমার আছে, বা ফান্ডিং পেয়েছেন কিনা সেগুলো জরুরী না।
সুযোগ
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নতুন কাস্টমার পাওয়া। যদি শূন্য থেকে শুরু করেন, তাহলে এটাই আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আপনি এই স্টেজে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ পাবেন। এই ধাপে ছোট ছোট জিনিষ চেঞ্জ করে বড় ফলাফল পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে এই টিউটোরিয়ালগুলো পড়ে দেখতে পারেনঃ
একশন পয়েন্টস
এই ধাপের মূল কাজ হচ্ছে নতুন কাস্টমার ল্যান্ড করা। কাস্টমার ছাড়া বিজনেস টিকে থাকতে পারবে না।
এর জন্য আপনি ফ্রি ট্রায়াল অফার করতে পারেন। ফ্রিমিয়াম মডেল অফার করতে পারেন। অথবা ট্যাডিশনাল মার্কেটিংও করতে পারেন। যেটা আপনার ব্যবসার সাথে মানানসই হয়। এই স্টেজে একটা কাস্টমার যে আপনার পণ্য ফ্রি ব্যবহার করে, কিন্তু বদলে আপনার কাছে আরও ১০ জন কাস্টমার পাঠায়, সে একজন পেয়িং কাস্টমারের চেয়ে অনেক বেশি ভ্যালুয়েবল।
ফ্রিমিয়াম প্রাইসিং মডেল ট্রাই করে দেখতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, এইটা সব ব্যবসার জন্য সঠিক উপায় না। আর ফ্রি দিতে গিয়ে এমন যেন না হয়, যে আর কেউ আপনার প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহই পাবেনা।
আর শুরুর দিকের কাস্টমারদের থেকে ফিডব্যাক নিয়ে আপনার প্রোডাক্ট রিফাইন করার মানসিকতাও আপনার থাকতে হবে।
আর ফাইনালি, আপনার টিকে থাকার মত যথেষ্ট ফান্ডিংও পেতে অথবা থাকতে হবে। নইলে এই ধাপগুলোতে টিকে থাকা কঠিন।
- প্ল্যানিংকিভাবে ব্যবসার ফাইন্যান্সিয়াল মডেল তৈরি করবেনএন্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
- ফাইন্যান্সকিভাবে এঞ্জেল ইনভেস্টর দিয়ে বিজনেস ফান্ড করতে পারেনএন্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
- ফাইন্যান্সকিভাবে বিজনেজের জন্য ফান্ড রেইজ করবেনএন্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
২। টিকে থাকা
অভিনন্দন। আপনি প্রথম ধাপ পার করে এসেছেন।
আপনার এক বা একাধিক প্রডাক্ট আছে, যেগুলো মানুষ কিনে ব্যবহার করতে ইচ্ছুক। কিন্তু আপনার বিজনেস কি লংটার্ম টিকে থাকার জন্য প্রস্তুত?
চ্যালেঞ্জ
এই ধাপের মেইন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মুনাফা। হ্যা, প্রফিট করে ব্যবসায় লাভবান হওয়া। এই ধাপের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ব্যবসা সাস্টেইনেবল করা।
এই ধাপে সফল না হলে, আগের সমস্যাই আবার উঠে আসবে, ফান্ড শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ব্যবসা টিকবে না।
তাই ব্যবসা গুটিয়ে যেন শেষ করে দিতে না হয়, তাই ব্যবসা দ্রুত সাসটেইনেবল করে ফেলতে হবে। এই সময়ে টিকে থাকার জন্য আগে থেকে কিছু টাকা সঞ্চয় করে রাখুন।
সুযোগ
এই ধাপ উৎরে গেলে ব্যবসা সাস্টেইনেবল হয়ে যায়। আর অনেক রকম সুযোগ পাওয়া যায়ঃ
- নিজের ব্যবসা দিয়ে নিজের জীবিকা অর্জন তার মধ্যে একটা। ব্যবসা টিকবে কি টিকবে না সেই চিন্তা আর করতে হয়না।
- অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করে দেয়া।
- ইন্ডাস্ট্রির অনেকের সাথে পরিচয় ও নেটওয়ার্কিং।
এখন আপনার স্বপ্ন আর স্বপ্ন অবস্থায় নেই। বাস্তব হয়ে গেছে!
একশন পয়েন্ট
এই ধাপের হিসেব খুব সিম্পল। ব্যায়ের চেয়ে আয় বেশি হতে হবে।
মুনাফা হলে এই স্টেজে সফলতা পাওয়া যাবে। নিজের প্রডাক্টের প্রাইসিং এর উপর খেয়াল করুন। সেলস আর কস্টের সাথে সেই প্রাইসিং সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা মিলিয়ে দেখুন। বিস্তারিত জানতেঃ
- স্মল বিজনেসকিভাবে প্রফিটেবল স্মল বিজনেস শুরু করবেনএন্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
- স্মল বিজনেসকিভাবে নিজের স্মল বিজনেস শুরু করবেনএন্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
- প্রাইসিংআপনার বিজনেসের জন্য কোন প্রাইসিং স্ট্র্যাটেজি সঠিক?এন্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
মুনাফা বৃদ্ধি করার আরেকটি উপায় হচ্ছে কস্ট কাটিং। কিন্তু এই কাজ খুব সাবধানে করতে হবে। ব্যবসা শুরুর দিকে না বুঝে কস্ট কাটিং করা কাউন্টার প্রডাক্টিভ হতে পারে।
আর ক্যাশ ফ্লো এর দিকেও নজর রাখুন। বিজনেস প্রফিটেবল হলেও অনেক সময় ক্যাশ ফ্লো শেষ হয়ে যাওয়ার রিস্ক থাকে। যদি ক্যাশ ফ্লো প্রবলেম আপনি প্রায়ই ফেস করে থাকেন, তবে আমার এই টিউটোরিয়ালটি পড়ে দেখুন - ম্যানেজিং ক্যাশ ফ্লো প্রবলেম
৩। সাকসেস
৩য় ধাপে, আমরা অলরেডি শুরু ও টিকে থাকার ধাপ পেরিয়ে এসেছি। ব্যবসা লংটার্ম টিকে থাকার মত মুনাফা ব্যবসা থেকে আমরা আয় করি।
চ্যালেঞ্জ
এই ধাপে শুধু টিকে থাকা যথেষ্ট না। এই ধাপে আপনার ইনকাম করার ও বৃদ্ধি করার একাধিক নতুন উপায় খুজে বের করতে হবে। আর নতুন প্রফিট মার্জিন থেকে যে টাকা আসবে, সেটা ব্যবসার উন্নতি ও প্রসারের জন্য ব্যবহার করতে হবে।
এই স্টেজে ফেল করা মানে হচ্ছে ২য় ধাপে ব্যবসা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আটকে থাকা। কিন্তু বিজনেস স্কেল করা যাবেনা। আর আপনি নিজের বিজনেস থেকে বেসিক স্যালারি ছাড়া বেশি কিছু পাবেন না। কিছু ছোট ফার্ম এভাবেই চালিয়ে যায়, কিন্তু এটা বেশি রিওয়ার্ডিং পজিশন না।
সুযোগ
চার্চিলের অরিজিনাল আর্টিকেলে, তিনি ৩য় ধাপের দুইটা সম্ভব্য পরিনিতি উল্লেখ করেন।
ব্যবসার মুনাফা আপনি ব্যবসার প্রসারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। যাতে ৪র্থ ও ৫ম ধাপে পৌছাতে পারেন। অথবা, নিজে বিজনেস থেকে সরে এসে ব্যবসা ম্যানেজ করার জন্য ম্যানেজার নিয়োগ করতে পারেন। আর বিজনেস থেকে আসা টাকা অন্য কাজে লাগাতে পারেন।
দুটাই ভালো অপশন। দুটাই গ্রোথ, আর আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।



একশন পয়েন্ট
এই ধাপে এগিয়ে যেতে আরও অনেক সিস্টেমেটিক হতে হবে। গ্রোথ প্ল্যানিং এই স্টেজে অনেক বেশি জরুরী। এই ব্যাপারে আমি পরের মাসে আরেকটি আর্টিকেল লিখবো। তার আগে, বিস্তারিত জানতে বিজনেস প্ল্যানিং এর এই টিউটোরিয়ালটি পড়ুন।
বিশ্বস্ত ও যোগ্য কর্মচারি নিয়োগ করুন। কিভাবে এই কাজ করতে হয় তা জানতে নিচের আর্টিকেলগুলো পড়ে দেখুনঃ
- ম্যানেজমেন্টকিভাবে আপনার প্রথম কর্মচারি নিয়োগ করবেনএন্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
- ম্যানেজমেন্টকিভাবে ডেলিগেট করবেনএন্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
৪। টেক অফ
এইটা হচ্ছে র্যাপিড গ্রোথ স্টেজ। এই স্টেজে বোঝা যাবে যে আপনার ব্যবসা ছোট থেকে বড় ব্যবসায় রুপান্তরিত হতে পারবে কি না।
চ্যালেঞ্জ
র্যাপিড গ্রোথ ম্যানেজ করা কঠিন। কিন্তু ঠিক মত করলে ব্যবসা বড় একটি কোম্পানিতে পরিণত হতে সময় লাগেনা। আবার ঠিক মত না করলে ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যেতেও সময় লাগেনা।
এই ধাপে আপনার কাজ হচ্ছে যথেষ্ট ফান্ড এক করে বিজনেস গ্রোথে লাগানো। নতুন কর্মচারি রাখা। বিজনেসের স্কেল বড় করা। আর মনে রাখতে হবে, এই ধাপে ব্যবসা কিভাবে চলবে, তা পরিবর্তন করতে হবে। বড় কোম্পানি স্টার্টআপের মত রান করা সম্ভব হবে না।
সুযোগ
এই ধাপ হচ্ছে ব্যবসাকে বড় কোম্পানিতে রুপান্তর করার সুযোগ। এক সময় এপল আর ফেসবুকের মত কোম্পানিও স্টার্টআপ ছিলো। ঠিক মত গাইড করতে পারবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটা কোম্পানিতে প্রসার করাও অসম্ভব না।
অত বড় না হতে পারলেও, আপনি অনেক বড় গ্রোথ এচিভ করতে পারেন। এই লেভেলে বিশাল পরিসরে গ্রোথ সম্ভব, যেটা শুরুর দিকে অল্প মুলধনে করা সম্ভব ছিলো না।
একশন পয়েন্ট
প্রথমে আপনার র্যাপিড গ্রোথের একটা স্ট্র্যাটেজি লাগবে। যদিও গ্রোথ প্ল্যানিং একেবারে লাস্ট স্টেজ, ব্যবসায় আসল টেক অফ পেতে স্ট্র্যাটেজি অনেকবার রিফাইন করতে হতে পারে।
আর কিভাবে এইসব গ্রোথ ফান্ড করবেন সে ব্যপারেও আপনাকে চিন্তা করতে হবে। বিস্তারিত জানতে আমাদের ফান্ডিং সিরিজ পড়ে দেখতে পারেন।
এই স্টেজে বিজনেসকে যতটা সম্ভব ডিসেন্ট্রালাইজও করতে হবে। প্রো লেভেল এইচআর সিস্টেম তৈরি করতে হবে। বিজনেজ সফটওয়্যার এর ব্যবহার শুরু করতে হবে।
এই পর্যায়ে আপনার বিজনেস বড় কোম্পানির মত চলা শুরু করবে। যদিও এর বেশিরভাগই বিউরোক্রেসি মনে হবে, কিন্তু বড় কোম্পানির সাথে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হলে এর বিকল্প নেই।
৫। রিসোর্স ম্যাচিউরিটি
টেক অফ ফেজ চিরস্থায়ী নয়। এক সময় র্যাপিড গ্রোথের আর কোন সুযোগ থাকবে না। কিন্তু এর পর্যায়ে আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসা বড় ম্যাচিওর বিজনেস হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে। যেটার নিজের অন্য রকমের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ থাকবে।



চ্যালেঞ্জ
এই স্টেজে আপনাকে বুঝতে হবে স্লোয়ার গ্রোথ নিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয়। যেমনঃ
- কিভাবে র্যাপিড গ্রোথ লেভেল এনার্জি কর্মচারিদের মাঝে ধরে রাখতে হবে?
- সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তা মনোভাব কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায়?
- নতুন নতুন উপায় কিভাবে ইনকাম বৃদ্ধি করা যায়?
আর পার্সোনাল ডিট্যাচমেন্ট নিয়ে কথা বলেছি আগেই। এই স্টেজেও সেটা আবার ভেবে দেখতে হবে। আপনার নিজের রোজ রোজ ব্যবসায় সময় না দিলেও হবে। সেটা একজন ম্যানেজার করতে পারবে আপনার বদলে।
সুযোগ
এইটা এই মডেলের ফাইনাল স্টেজ। কিন্তু, ব্যবসার এই কাজ আসলে কখনই পুরোপুরি শেষ হয়না। অনেক সুযোগ ও ধাপ থেকেই যায়। নতুন একটা প্রডাক্ট, বা সার্ভিস বা অন্য ব্যবসা কিনে নিয়ে কিভাবে গ্রোথ বজায় রাখা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে।
আর ব্যক্তিগত ভাবেও অনেক গ্রোথ সম্ভব। নিজের অন্যান্য আইডিয়া কাজে লাগানোর সামর্থ্য এখন আপনার হয়েছে। আপনি চাইলে এই পর্যায়ে বিজনেস থেকে ক্যাশ আউটও করতে পারেন। পুরোপুরি, বা আংশিক ভাবে। এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আমার স্মল বিজনেস এক্সিট স্ট্র্যাটেজি আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
একশন পয়েন্ট
এই ধাপে রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে মনোযোগ দিতে হবে। র্যাপিড গ্রোথ শেষ হওয়ার পড়ে, কিভাবে এসেট ম্যানেজ করতে হবে, সেটাও ঠিক করতে হবে।
কোম্পানি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে বিভক্ত করলে সেটা ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাকচারের জন্য ভালো হবে কিনা খতিয়ে দেখুন।
ব্যবসা হালনাগাদ রাখার চেষ্টা করুন। অন্যান্য স্টার্টআপ যেন আপনার বড় কোম্পানি অতিক্রম করে আপনার ক্ষতি করতে না পারে, তাই ইনোভেশন করতে হবে।
পরিশেষ
এই টিউটোরিয়ালে আমরা দেখলাম চার্চিল ও লুইসের বিজনেস গ্রোথের ৫ স্টেজ মডেল। এবং কিভাবে কোন স্টেজ কমপ্লিট করতে হয়। যেহেতু এইটা একটা হাই লেভেল গাইড, তাই বিস্তারিত জানার সুবিধার্থে কিছু লিংক সাথে দেয়া হল।
তবে খেয়াল রাখবেন, জেনারেল মডেল দিয়ে একটা জেনারেল গাইডই দেয়া সম্ভব।
আপনার ব্যবসার স্পেসিফিক সমস্যার কথা বা এমন হাজার রকমের ভ্যারিয়েশন একটা গাইড কভার করতে পারবে না। তাই নিজের বিশেষ পরিস্থিতি কিভাবে ম্যানেজ করবেন সেটা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে।
