Advertisement
  1. Business
  2. Responsive Web Design

প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন কি? (সংজ্ঞা + উদাহরণ)

Scroll to top
Read Time: 9 min
This post is part of a series called How to Make Responsive Business Websites (Tutorial Guide).
12 Important Advantages of Responsive Web Design

() translation by (you can also view the original English article)

প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন অনেক আগে থেকেই বহুলভাবে প্রচলিত--এমনকি ম্যাশেবল ২০১৩ সালকে প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইনের সাল হিসেবে ঘোষণা করার আগে থেকেই তা প্রচলিত আছে‌। সেই সাথে বিভিন্ন স্ক্রিন সাইজের মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই বিষয়টি ইন্টারনেটে বহুলভাবে আলোচিত একটি বিষয়।

কিন্তু ছোট ব্যবসার জন্য প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন বলতে আসলে কি বোঝায়? তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কেন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করবেন?

কোন ব্যবসার প্রচারণা ও মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি ভালোভাবে ডিজাইনকৃত ওয়েবসাইট আপনার সবচেয়ে মূল্যবান অ্যাসেট হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি এটাকে সত্যিকারভাবেই ফলপ্রসূ করতে চান, তাহলে কেবল একটি আকর্ষণীয় ডিজাইনই যথেষ্ট নয়। একই সাথে আপনার ওয়েবসাইটটিকে প্রতিক্রিয়াশীলও হতে হবে।

প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েবসাইট তৈরি করার মূল কারণ হচ্ছে, মোবাইল ডিভাইস থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার পরিমাণ বেশ কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া। যা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ব্যবসার ক্ষেত্রে এর মানে হচ্ছে, আপনার ওয়েবসাইটটি ছোট স্ক্রিন থেকে ভালোভাবে দেখাবে না এবং বিষয়বস্তু পড়া ও পরিচালনা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে, তাই আপনার ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটের পরিবর্তে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে প্ররোচিত হবে।

সহজভাবে বললে রেসপনসিভ ওয়েব ডিজাইন বিলাসিতা নয়, এটা একটি প্রয়োজন এবং আপনার ওয়েবসাইটটি রেসপনসিভ কি না তা নিশ্চিত করার এখনই উপযুক্ত সময়।

আপনি যদি প্রতিক্রিয়াশীল ডিজাইন কি এবং কেন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার তা জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। এই রচনায়, আমরা ব্যাখ্যা করবো, কিভাবে প্রতিক্রিয়াশীল ডিজাইন কাজ করে এবং কেন আপনি একটি প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েবসাইটের কথা বিবেচনা করবেন। এছাড়াও আমরা আপনাকে বাস্তব জীবনের বেশ কিছু প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন এর উদাহরণ দেখাবো। চলুন, তাহলে এবার শুরু করি!

প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন কি?

প্রতিক্রিয়াশীল বা রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন এই শব্দটি ২০১০ সালে ইথান মারকটি প্রথম ব্যবহার করেন এবং এটা দিয়ে এমন ওয়েবসাইট ডিজাইন করার প্রক্রিয়া বোঝানো হয়, যা যেকোনো ডিভাইস থেকেই দেখা হোক না কেন তা নিখুঁত ও ব্যবহারকারীদের জন্য অনুকূল অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম হবে।

মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন তিনটি মূলনীতি অনুসরণ করে থাকে: ফ্লুইড গ্রিড, প্রতিক্রিয়াশীল মিডিয়া এবং মিডিয়া কুয়েরিসমূহ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইনে মিডিয়া ভিউপোর্ট মেটা ট্যাগও ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে, যখন একটি ডিভাইস কোন ওয়েব সাইটের প্রাথমিক প্রস্থ নির্ণয় করতে না পারে অথবা কোন ওয়েবসাইটকে পরিমাপ করতে সক্ষম না হয় যার ফলে মিডিয়া কুয়েরী অচল হয়ে যায়। এখানে প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইনের মূলনীতিগুলো ব্যাখ্যা করা হলো:

১। ফ্লুইড গ্রিড

ফ্লুইড গ্রিড অন্যান্য ডিজাইন গ্রিডের মতোই কাজ করে - এটা দিয়ে আপনি কোন পেইজের উপাদানসমূহকে আকর্ষণীয় ভাবে সাজাতে পারবেন। যদিও ট্রেডিশনাল গ্রিডের মতোই, ফ্লুইড গ্রিডও স্ক্রীন সাইজের উপর নির্ভর করে রিসাইজ হয়ে যায় এবং যেকোনো প্রস্থের সাথে সহজেই মানিয়ে যায়। কারণ এটাতে পিক্সেলের এর মত নির্দিষ্ট ইউনিটের পরিবর্তে পরিমাপের আপেক্ষিক ইউনিট সমূহ ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন, শতাংশ অথবা em ইউনিট।

২। মিডিয়া কুয়েরী

মিডিয়া কুয়েরী ব্যবহার করে আপনি আরও নির্দিষ্ট ভাবে প্রতিক্রিয়াশীল ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন এবং তা বিশেষ স্ক্রিন সাইজের উপর ভিত্তি করে সমন্বয় করতে পারবেন। লেমেনের মতে, ওয়েবসাইটে মিডিয়া কুয়েরীতে এমন কিছু তথ্য ব্যবহার করা হয় যা স্ক্রিনের সাইজ বুঝতে ও সে অনুযায়ী সিএসএস স্টাইল লোড করতে সাহায্য করে।

৩। প্রতিক্রিয়াশীল মিডিয়া

রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইনের তৃতীয় মূলনীতি হচ্ছে রেস্পন্সিভ অথবা ফ্লেক্সিবল/পরিবর্তনযোগ্য মিডিয়া। আধুনিক ওয়েবসাইটগুলোতে প্রচুর পরিমানে ইমেজ, ভিডিও এবং অন্যান্য মিডিয়া ফাইল ব্যবহার করা হয়, তাই রেস্পন্সিভ ডিজাইনে ভিন্ন ভিন্ন স্ক্রিন সাইজ অনুযায়ী এই কন্টেণ্টগুলোর সাইজ বদলে যাওয়া অত্যাবশ্যক।

সাধারনভাবে, ডিজাইনাররা ইমেজের মাত্রা তাদের সিএসএস স্টাইলশিটে নির্দিষ্ট করে থাকে। কিন্তু রেস্পন্সিভ ডিজাইনের ক্ষেত্রে এটা কাজ করবে না, কারণ উপরে বর্ণিত ফিক্সড ইউনিট পরিমাপের কারণে। এর বদলে, আপনি ইমেজ ফাইল, ভিডিও এবং অন্যান্য মিডিয়া টাইপের জন্য max-width প্রোপার্টি ব্যবহার করতে পারেন। মিডিয়া ফাইলগুলো যাতে তাদের কন্টেইনার অতিক্রম না করে এবং স্ক্রিন সাইজের উপর ভিত্তি করে সুন্দরভাবে মাপ ঠিক হয়ে যায়, সেজন্য max-width প্রোপার্টি 100% সেট করতে হবে।

৪। ভিউপোর্ট মেটা ট্যাগ

আগেই বলা হয়েছে, ভিউপোর্ট মেটা ট্যাগ তখনই কাজে লাগবে যখন কোনও ডিভাইস একটি ওয়েবসাইটের প্রাথমিক প্রস্থ সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ার কারণে মিডিয়া কুয়েরী অচল হয়ে যায়। এই অবস্থার মোকাবিলা করার জন্য অ্যাপল ভিউপোর্ট মেটা ট্যাগের প্রবর্তন করে।

ভিউপোর্ট মেটা ট্যাগে একটি প্রাথমিক স্কেল বা প্রস্থ আছে যার মান সাধারণত 1 বসানো হয়ে থাকে, যা ডিভাইসের উচ্চতা বা প্রস্থের মান এবং ভিউপোর্ট সাইজের অনুপাত ব্যবহার করে কোনও ওয়েবসাইটের প্রাথমিক প্রস্থ বুঝতে না পারার এই সমস্যাটির সমাধান করে থাকে।

বাস্তবে প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন যেভাবে কাজ করে থাকে

এই পর্যন্ত আমরা প্রতিক্রিয়াশীল ডিজাইনের মূলনীতিগুলো ব্যাখ্যা করেছি, এবার আমরা বাস্তব জগতের বেশ কিছু রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইনের উদাহরণ দেখবো:

১। সুসান জিন রবার্টসন

একজন ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার কারণে সুসান জিন রবার্টসনের ওয়েবসাইট যে ওয়েব ডিজাইনের বেস্ট প্র্যাক্টিসগুলো অনুসরণ করবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তার ওয়েবসাইটটি যেকোনো ডিভাইস থেকেই খুব সুন্দরভাবে দেখা যাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

Susan Jean Robertson Susan Jean Robertson Susan Jean Robertson

যদিও তার ওয়েবসাইটটি বেশ সাধারণ এবং সংক্ষিপ্ত, এতে বেশকিছু ইমেজ আছে যা স্ক্রিন সাইজের উপর ভিত্তি করে চমৎকার ভাবে কেবল পরিবর্তনই হয়নি, সাথে সাথে দুই কলামের লেআউট থেকে ছোট স্ক্রিনে এক কলামের লেআউট হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে। ওয়েবসাইটের মেনু, যা প্রায়শই ছোট স্ক্রীনের জন্য হ্যাম বার্গার মেনুতে রূপান্তরিত হয়, তা এখানে একই রকম আছে। কারণ এতে অনেকগুলো লিংক নেই, তাই তা লুকানোর প্রয়োজনও নেই।

Susan Jean Robertson Mobile siteSusan Jean Robertson Mobile siteSusan Jean Robertson Mobile site

২। বিএমডব্লিউ

বিএমডব্লিউ এর ওয়েবসাইটে অনেকগুলো ইমেজ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইনের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।

BMW Web Responsive DesignBMW Web Responsive DesignBMW Web Responsive Design

তথাপি আপনি নিচের স্ক্রিনশট থেকে দেখতে পাচ্ছেন, বিএমডব্লিউ ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন স্ক্রীন সাইজ অনুযায়ী ইমেজ এবং ভিডিওসমূহ দেখানোর বিষয়টি খুব চমৎকার ভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ওয়েব সাইটে আপনি নিশ্চয়ই মোবাইল ডিভাইসে হ্যাম বার্গার মেনুর ব্যবহার লক্ষ্য করেছেন।

BMW mobile siteBMW mobile siteBMW mobile site

৩। ফিল্ড নোট

ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর উদাহরণ হিসেবে ফিল্ড নোট একটি সুন্দর উদাহরণ। এই ওয়েবসাইটটি মোবাইল এবং ডেস্কটপ দুটো ডিভাইসেই চমৎকার ভাবে দেখা যায়।

Field Notes web responsive designField Notes web responsive designField Notes web responsive design

এই ওয়েবসাইটটি ছোট স্ক্রিনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড হ্যাম বার্গার মেনু ব্যবহার করেছে এবং পণ্যের সারি চার কলাম থেকে দুই কলামের সারিতে মাপ পরিবর্তন করেছে। কল টু অ্যাকশন' বাটনটি দৃশ্যমান এবং সহজে ক্লিক যোগ্য আছে যদিও স্ক্রীন সাইজ পরিবর্তন হয় এবং একই সাথে পণ্যের ইমেজগুলোর পরিমাপও খুব সুন্দর ভাবে বদলে গেছে।

Field Notes mobile siteField Notes mobile siteField Notes mobile site

৪। ক্লায়েন্টবুস্ট

ক্লায়েন্টবুস্ট ওয়েবসাইটে আপনি সর্বপ্রথম যে জিনিসটি লক্ষ্য করবেন তা হচ্ছে আকর্ষণীয়ভাবে চিত্রিত একটি ব্যাকগ্রাউন্ড এবং এই ব্যাকগ্রাউন্ড টি আপনি যে কোনো সাইজের ব্রাউজার উইন্ডো থেকেই দেখেন না কেন তা দেখতে সুন্দর মনে হবে।

KlientBoostKlientBoostKlientBoost

হ্যাম বার্গার মেনু ব্যবহারের পাশাপাশি, ক্লায়েন্টবুস্টে ছোট স্ক্রিনের জন্য আলাদা লোগো ভার্শন ব্যবহার করা হয়েছে এবং বাকি লেআউটটি স্বাভাবিকভাবেই আচরণ করছে: একাধিক কলাম একটি একক কলামে রূপান্তরিত হয়েছে।

KlientBoost mobile siteKlientBoost mobile siteKlientBoost mobile site

৫। উইলোট্রি

আমাদের এই তালিকার শেষের উদাহরণটি হচ্ছে উইলো ট্রি অ্যাপ যা একটি ডিজিটাল এজেন্সি। এই ওয়েবসাইটে একটি পরিচ্ছন্ন লে-আউটে অনেকগুলো ইমেজ ব্যবহার করে কনটেন্ট এবং পোর্টফোলিও তুলে ধরা হয়েছে। ‌

WillowTree WillowTree WillowTree

আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে ইমেজগুলো সম্পূর্ণ প্রতিক্রিয়াশীল এবং স্ট্যান্ডার্ড প্যাটার্ন অনুসরণ করে পোস্টের সারাংশের আগে কনটেন্টের অন্যান্য উপাদান এর মতই একটি অপরটির উপর সাজানো অবস্থায় দেখাচ্ছে। এখানে একটি হ্যামবার্গার মেনু ও কল টু অ্যাকশন' বাটন আছে যা ছোট স্ক্রিনেও পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে।

WillowTree mobile siteWillowTree mobile siteWillowTree mobile site

প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইনের অনুপ্রেরণার জন্য উপরের ওয়েবসাইট গুলো যেনো বরফখণ্ডের চূড়ার মতই। আপনি আমাদের ২৫ টি সেরা প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন এর উদাহরণ এই রচনায় এমন আরো অনেক উদাহরণ পাবেন।

যে কারণে আপনার বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন দরকার

ওয়েব ডিজাইনের সর্বাধুনিক প্রচলিত বিষয়গুলো অনুসরণ করাই কেবল প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন নয়। ওয়েব সাইটের জন্য রেস্পন্সিভ লেআউট ব্যবহার করার অনেকগুলো সুবিধা আছে যা আপনার ট্রাফিক, এসইও এবং আয়ের উপর প্রভাব ফেলবে। কেন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন ব্যবহার করবেন তার সর্বোচ্চ পাঁচটি কারণ এখানে দেওয়া হলো।

১। আরো ভালো ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং ওয়েবসাইট ব্যবহারযোগ্যতা

একটি প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন গ্রহণ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণটি হলো যে আপনি আপনার দর্শকদের একটি ভালো ব্যবহার অভিজ্ঞতা প্রদান করবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের ব্যবহারযোগ্যতা আরও উন্নত করবেন। তারা এক পৃষ্ঠা থেকে অন্য পৃষ্ঠায় সহজেই যেতে সক্ষম হবে এবং কোনও ফর্ম পূরণ করতে বা কল-টু-অ্যাকশন বোতামে ক্লিক করতে সমস্যা থাকবে না।

২। আরো বেশি মোবাইল ভিজিটর

যেমনটি আমরা আগেও উল্লেখ করেছি, পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি ওয়েব ট্র্যাফিক মোবাইল ডিভাইস থেকে আসে, যার মানে আপনার ওয়েবসাইট একবার রেস্পন্সিভ হয়ে গেলে আপনার আরও অনেক বেশি ভিজিটর আকৃষ্ট করার সুযোগ থাকে। তারা যদি এমন একটি ওয়েবসাইট পায় যা ছোট স্ক্রিনেও খুব ভালোভাবে দেখা যায় এবং কাজ করে, তাই তারা এটা ছেড়ে অন্য কোথাও যাবে না। তাই মোবাইল ডিভাইস থেকে আপনার গ্রাহক ও আগ্রহীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।

৩। দ্রুততর ওয়েবসাইট

প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইনের পাশাপাশি দ্রুত লোড হতে সক্ষম ওয়েবসাইট হচ্ছে আরেকটি ইন্টারনেট ট্রেণ্ড। এজন্য ফ্লুইড গ্রিড এবং রেস্পন্সিভ মিডিয়াকে ধন্যবাদ, যার ফলে প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েবসাইটসমূহ সাধারণ ওয়েবসাইটের তুলনায় দ্রুত লোড হয়ে থাকে। এরফলে, ভিজিটরগণ অনেক সময় ধরে আপনার সাইটে থাকবে, যা তাদেরকে আপনার পণ্য কিনতে আগ্রহী করে তুলবে - এতে আপনার গ্রাহক রূপান্তর হার বাড়বে।

৪। গ্রাহকে রূপান্তরের হার বৃদ্ধি

যখন ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটে আরো বেশি সময় কাটাবে, তখন আপনি তাদেরকে ভিজিটর থেকে লিডস এবং তারপর সাবস্ক্রাইবার এবং ক্রেতায় রূপান্তর করার আরো ভালো সুযোগ পাবেন। রিসার্চ অনুযায়ী, স্মার্টফোন ডিভাইসগুলোর গড় গ্রাহক রূপান্তর হার ডেস্কটপ গ্রাহক রূপান্তর হারের চেয়ে ৬৪% বেশি। এটা হচ্ছে উন্নত ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের প্রত্যক্ষ ফলাফল যা যেসব ওয়েবসাইট সব ধরনের স্ক্রিন সাইজ ও দ্রুত লোড করা যায় সেসব ওয়েবসাইটের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

৫। আরো ভালো এসইও র‍্যাঙ্ক

রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইনের সর্বশেষ সুবিধাটি হচ্ছে আরো ভালো এসইও র‍্যাঙ্ক পাওয়া। এটা নিঃসন্দেহে সেরা পাঁচ সুবিধাগুলোর একটি। সর্বোপরি, যদি আপনাকে সার্চ ইঞ্জিনে পাওয়াই না যায়, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অরগানিক ট্রাফিক মোটামুটি অসম্ভব। ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে, গুগলের মতে, আপনার ওয়েবসাইটের রেস্পন্সিভনেস হচ্ছে অন্যতম একটি র‍্যাঙ্কিং সিগন্যাল যা দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে কিভাবে প্রদর্শিত হবে তা নির্ধারিত হয়ে থাকে। তবে গুগল একমাত্র সার্চ ইঞ্জিন নয় যা এই সুপারিশ করে। বিং তার ব্লগে স্পষ্টভাবে বলেছে, যে সমস্ত প্ল্যাটফর্মের জন্য অপ্টিমাইজ করা ওয়েবসাইট হচ্ছে একটি সফল এসইও কৌশল।

কিভাবে রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন নিয়ে কাজ শুরু করবেন

ইতিমধ্যেই আমরা প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলি নিয়ে আলোচনা করেছি। এবার আসুন কিভাবে শুরু করতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

১। আপনার ওয়েবসাইট প্রতিক্রিয়াশীল কিনা তা পরীক্ষা করুন

আপনার প্রথমে যা করা উচিত তা হলো, আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করা। আপনি গুগল এর মোবাইল-ফ্রেন্ডলি টেস্টের মত একটি টুল ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে আপনার সাইটের URL টি প্রবেশ করান এবং টুলটি আপনার সাইটটি বিশ্লেষণ করবে এবং এটি প্রতিক্রিয়াশীল কিনা তা আপনাকে বলবে। আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল-বান্ধব কিনা তা নিশ্চিত করতে কী করা উচিৎ সে পরামর্শও আপনি এখানে পাবেন।

২। প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইনের উদাহরণ দেখে অনুপ্রাণিত হোন

আপনার সাইটটি প্রতিক্রিয়াশীল কিনা তা জানার পরে, এখন বেশ কিছু রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইটের উদাহরণ দেখে অনুপ্রেরণা নেয়ার পালা। আপনাকে দেখতে হবে কিভাবে এই ওয়েবসাইটগুলো উপরে বর্ণিত মূলনীতির সাথে অন্যান্য দরকারী ফিচারসমূহের সমন্বয় করেছে।

৩। একটি প্রতিক্রিয়াশীল টেমপ্লেট বা একটি থিম চয়ন করুন

পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে আপনার সাইটের জন্য একটি প্রতিক্রিয়াশীল টেমপ্লেট বা একটি থিম নির্বাচন করা। আপনি যদি এখনও পর্যন্ত আপনার ওয়েবসাইটের জন্য HTML টেমপ্লেট ব্যবহার করে থাকেন এবং এগুলোর ব্যবহার চালিয়ে যেতে চান তবে আপনার পছন্দমত নেয়ার জন্য প্রচুর প্রতিক্রিয়াশীল HTML টেমপ্লেট রয়েছে। আমাদের মার্কেটপ্লেসে থাকা সেরা রেস্পন্সিভ HTML টেম্পলেটের রাউন্ডআপ দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন।

যদি ওয়ার্ডপ্রেস আপনার পছন্দের প্ল্যাটফর্ম হয়, তাহলে আপনি জেনে খুশি হবেন যে, আমাদের এখানে রেস্পন্সিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিমেরও কোনও কমতি নেই, আপনার ব্যবসাটি যেই শিল্পেরই হোক না কেন তা আসলে কোনও বড় ব্যাপার নয়।

৪। এই রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন ট্রিক্স ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটকে পরবর্তী লেভেলে নিয়ে যান

আপনার সাইটটি একটি রেস্পন্সিভ টেম্পলেট অথবা থিম ব্যবহার করছে কিনা তা নিশ্চিত হবার পর, এবার এটাকে বেশ কিছু টিপস এবং ট্রিক্স ব্যবহার করে পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার পালা। আপনার ওয়েবসাইটটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সরবরাহ করে এবং সম্পূর্ণরূপে প্রতিক্রিয়াশীল তা নিশ্চিত করতে আপনাকে সহায়তা করার জন্য একটি প্রাথমিক ধাপ হিসাবে আমাদের গাইডটি ব্যবহার করুন।

প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইনকে স্বাগত জানান

রেসপন্সিভ বা প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েব ডিজাইন ভবিষ্যতে কখনই যাবে না। আসলে, এটাই ভবিষ্যতের একমাত্র উপায় এবং এর সঙ্গে অনেকগুলো সুবিধা জড়িয়ে আছে, যা যে কোনও ব্যবসার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটটিকে পরবর্তী লেভেলে নিয়ে যেতে চান, তাহলে আমাদের রেস্পন্সিভ HTML টেম্পলেট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস থিম দিয়ে তা সাজিয়ে তুলুন এবং সঠিকভাবে কাজ শুরু করার জন্য এই টিউটোরিয়ালে দেয়া টিপস এবং ট্রিক্সগুলো ব্যবহার করুন।

Advertisement
Did you find this post useful?
Want a weekly email summary?
Subscribe below and we’ll send you a weekly email summary of all new Business tutorials. Never miss out on learning about the next big thing.
Advertisement
One subscription. Unlimited Downloads.
Get unlimited downloads