() translation by (you can also view the original English article)
আমার আগে টিউটোরিয়ালে যা দেখলাম, "কন্টেন্ট মার্কেটিং কি?"। ব্যবসার জন্য নতুন কাস্টমার খুঁজে বের করতে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর তুলনা হয়না। কন্টেন্ট মার্কেটিং এর চাবিকাঠি হচ্ছে একটি কম্প্যানি ব্লগ থাকা।
এই টিউটোরিয়ালে, আমি দেখাবো কিভাবে একটি ব্যবসার ব্লগ তৈরি করতে হয়, যেটা দিয়ে কাস্টমার অ্যাট্রাক্ট করা যায় আর ব্যবসার পরিসর বাড়ে।
ব্লগ শুরুর একেবারে বেসিক পর্যায় থেকে আমরা আমাদের আলোচনা শুরু করবঃ কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন, কিভাবে ব্লগ সেটাপ করবেন, কিভাবে সেটিকে প্রফেশনাল লুক দিতে হবে।
এরপর আমি আপনাকে কিছু কম্প্যানি ব্লগের উদাহরণ দেখাবো, সেখান থেকে দেখে অনেক কিছু শিখে নিতে পারবেন। এরপর দেখবো কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজির অ্যাংগেল কিভাবে খুঁজে পাবেন।
এই টিউটোরিয়ালের শেষে, আপনি সহজেই একটি ব্যবসার ব্লগ তৈরি করে নিতে পারবেন, যেটা পাঠক পড়ে আনন্দ পাবে, আপনার সাইটের ট্রাফিক বাড়বে, আর আরও কাস্টমার খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।



১। কিভাবে একটি ব্লগ শুরু করবেন
ব্লগ সেটাপ করতে অনেক রকম অপশন রয়েছে।
আপনার সাইট বনাম এক্সটার্নাল
একটি উপায় হচ্ছে থার্ড পার্টি কোন সাইটে নিয়মিত ব্লগিং করা, যেমন Medium.com, LinkedIn, এমন কি আপনার ফেসবুক পেজ।
এমন করার সুবিধা হচ্ছে, এই অপশন সাধারণত ফ্রি, ওইসব সাইটে আগে থেকেই অনেক ভিজিটর আছে, তাই আপনার ট্রাফিক পেতে একটু সুবিধা হবে, আর আপনার লেখা অনেকের নজরে আসবে।
কিন্তু অসুবিধা হচ্ছে যে এসব সাইটে অপশন অনেক লিমিটেড থাকে (আর সাইটের যে কোন কিছু বিনা নোটিশে চেঞ্জ হয়ে গেলে কিছু করতে পারবেন না), আর পাঠকদের থেকে কাস্টমার খুঁজে পাওয়া যায়না, কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য কিন্তু তাই ছিলো। আমাদের ইচ্ছা হচ্ছে পাঠক যেন আমাদের সাইটে ঘুরে ফিরে দেখে আমরা কি করি।
অথবা নিজের সাইটে ব্লগ সেটাপ করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সবকিছুই আপনার কন্ট্রোলে থাকবে। নিজের ইচ্ছা মত সেটাপ করে নিতে পারবেন, সব ট্রাফিক আপনার সাইটেই আসবে, আপনার কাছেই থাকবে। আর এই উপায়ে পাঠকদের থেকে কাস্টমার খুঁজে পেতে অনেক সুবিধা হয়, কারণ তারা অলরেডি আপনার সাইটেই আছে।
তাই আমি বলব। নিজের সাইটেই ব্লগ সেটাপ করে নিতে, আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্লগ প্রোমোশনের কাজে ব্যবহার করতে (নিচে বিস্তারিত)।
কোন প্ল্যাটফর্ম?
ওয়ার্ডপ্রেস সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম, প্রতি ৪টা সাইটের ১টা এটি দিয়ে বানানো। কিন্তু এটি একমাত্র অপশন নয়। আরও অনেক আছে, যেমন ব্লগস্পট, টাম্বলার, ঘোস্ট সহ আরও অনেক কিছু। অনেক প্যাকেজের সাথে হোস্টিং ফ্রি থাকে, আবার কিছু শুধুই সফটওয়্যার, যা নিজের সাইটে হোস্ট করে ব্যবহার করতে হয়।
আপনার সাইট আগে থেকেই সেটাপ করা থাকলে, হয়ত আপনি আগে থেকেই কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন, এক্ষেত্রে সেটি ব্যবহার করে ব্লগিং করাই উত্তম। অন্য কাউকে দিয়ে আপনার সাইট সেটাপ করিয়ে থাকলে, তাদের জিজ্ঞেস করুন যে আপনার সাইটে কিভাবে একটি ব্লগ সেটাপ করা যায়।
প্রোফেশনাল লুক দিন
এই ব্লগ আপনার ব্যবসাকে তুলে ধরে, নতুন কাস্টমার খোঁজার কাজ করে, তাই এটি দেখতে প্রফেশনাল হতে হবে। ঠিক আপনার ভিজিটিং কার্ড বা ব্রোশারের মতই।
বেশিরভাগ প্ল্যাটফর্মেই কমবেশি ফ্রি থিম থাকে (ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডাইরেক্টরি), কিন্তু প্রিমিয়াম থিমে কার্যকরী ফিচার বেশি থাকে। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস, ঘোস্ট, টাম্বলার সহ অন্যান্য ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের প্রিমিয়াম থিম এনভাটো মার্কেট থেকে কিনতে পারবেন।



২। সফল কম্প্যানি ব্লগ পড়ে দেখুন
প্রথম পোষ্ট লেখার আগে, একবার ভেবে নেয়া দরকার কি করছেন, কেন করছেন আর কিভাবে এটি আপনি আরও ভালোভাবে করতে পারেন।
এজন্য অন্য কোম্পানির ব্লগ পড়ে দেখা যেতে পারে। বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে না, শুধু জেনারেল আইডিয়া নেয়ার জন্য ততটুকু দরকার। এখানে কয়েকটি ইন্টারেস্টিং ব্লগ দেয়া আছেঃ
Marriott on the Move
ম্যারিয়ট হোটেল চেইন এর কর্পোরেট ব্লগঃ এটি একটি পার্সোনাল ডায়েরি স্টাইল ব্লগ, যা ম্যারিয়ট হোটেল চেইনের ৮৪ বছর বয়স্ক মালিক নিজে লিখে থাকেন। তার লেখা একটি বিখ্যাত পোষ্ট, যা গতবছর পাব্লিশ হয়েছে, নাম Remembering My Mom on Mother’s Day.
আপনি কি শিখতে পারেনঃ পাঠক পার্সোনাল স্টোরি পছন্দ করে, এতে ফ্রেন্ডলি ভয়েস ব্যবহারে পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব।



গুগল অফিশিয়াল ব্লগ
কোম্পানি ব্লগে সব সময় নিজের প্রডাক্ট নিয়ে বেশি বেশি লেখা উচিৎ না। কিন্তু এই নিয়মটি গুগল ব্লগ লঙ্ঘন করে থাকে। তারা শুধু নিজেদের প্রোডাক্ট আর আপডেট নিয়ে ব্লগিং করে। কিন্তু এই রকম পোষ্ট দিয়েও তাদের ব্লগ অনেক সফল।
কি শিখতে পারেনঃ নতুন প্রোডাক্টের এনাউন্সমেন্ট বেশ পপুলার, যদি প্রোডাক্ট ভালো হয়, তাহলে সেখানে পার্সোনাল ভয়েস না থাকলেও চলে। আর, এই ব্লগের মিনিমাল ডিজাইন বেশ ভালো।



CE-BLOG
এটি একটি ক্যামিকেল কোম্পানির ব্লগ। এই কোম্পানির কর্মচারিরা এই ব্লগের পোস্টি লিখে থাকে। তারা তাদের পছন্দের বিষয়ে, নিজেদের ইচ্ছামত পোষ্ট লিখে এখানে দিতে পারে।
কি শিখতে পারেনঃ আপনার ব্যবসা যা নিয়েই হোক না কেন, সেটা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ না থাকলেও ব্লগিং করে মানুষের আগ্রহ তৈরি করে নিতে পারবেন।



Zillow Porchlight
এটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি Zillow এর ব্লগ। এই ব্লগে বেশির ভাগ হাউ টু টাইপ পোষ্ট করা হয়। আর এদের তারকা কাস্টমার যেমন, Uma Thurman, Wes Craven, and Britney Spears দের কথা এখানে ফিচার করা হয়। এরা অনেক ফ্রেন্ডলি হেডলাইন ব্যবহার করে।
কি শিখতে পারেনঃ যদি পপুলার সাব্জেক্ট নিয়ে ব্লগিং করে নিজের ব্যবসার মার্কেটিং করা যায়, তাহলে সেটা করা উচিৎ।



The Home Depot Blog
মানুষ বাড়ি ঠিক করার জিনিষ পত্র কিনতে হোম ডিপো যায়, তাই এই ব্লগ বাড়ি ঠিক করা বা সাজানোর বিষয় আলোচনা করে পোষ্ট দেয়।
কি শিখতে পারেনঃ এটি একটি ক্লাসিক কন্টেন্ট মার্কেটিং অ্যাপ্রোচ। নিজের প্রোডাক্ট কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, সেটা মানুষকে শিখিয়ে নিজের সেলস বৃদ্ধি করা।



৩। অ্যাংগেল নির্বাচন করা
উদাহরণ দেখে হয়ত টের পেয়েছেন, প্রতিটি ব্লগের একটি বিশেষ আংগেল আছে। কেউ দুই রকম কন্টেন্ট মিক্স করে, কেউ জেনারেল টপিকে লিখে থাকে।
তো আপনার নিজের ব্লগ শুরু করার সময়, আপনার নিজের অ্যাংগেল নিয়ে ভাবা উচিৎ। আপনি কি মানুষকে নিজের প্রোডাক্ট ব্যবহার শিখাতে চান? নিজের ব্যবসার অভিজ্ঞতা মানুষকে জানাতে চান? কর্মচারীদের দিয়ে ব্লগ লেখাতে চান? ইন্ডাস্টি নিউজ ও ট্রেন্ড নিয়ে লিখতে চান?
আর হ্যা, নিজের ব্লগের নাম নিয়েও ভাবুন। কিছু কোম্পানির ব্লগের নাম, "[কোম্পানির নাম] ব্লগ", যেটা ঠিকঠাক কাজ করে, কিন্তু Zillow Porchlight বা Marriott on the Move এর মত আলাদা নাম একটি স্বকীয়তা তৈরি করে।
ব্লগ নিয়ে আপনার গোল কি? আপনি কি ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, মেইলিং লিস্ট বড় করতে চাইছেন, পাঠকদের কাস্টমার বানাতে চাইছেন, নাকি শুধু নামডাক বাড়াতে চাইছেন?
আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কে? সাধারণত আপনার টার্গেট মার্কেট আপনার টার্গেট অডিয়েন্স হয়ে থাকে, কিন্তু এর বিপরীতও হতে পারে, যেমন আগের কাস্টমার, তরুণ কাস্টমার বা ধনী কাস্টমার, বা নারী বা পুরুষ কাস্টমার, ইত্যাদি। এর উপরে কন্টেন্ট কেমন হবে তা নির্ভর করে।
অ্যাংগেল খুঁজে পেতে পেতে এই কয়টি পয়েন্ট দেখে নিনঃ
- টার্গেট অডিয়েন্স ডিফাইন করে নিন, আপনার পছন্দের কাস্টমারের কথা মাথায় রেখে চিন্তা করুন, যে কেমন লেখা তার পছন্দ হতে পারে, এরপর সেই পছন্দ অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করুন।
- টার্গেট কাস্টমার চিন্তা করে রাখলে, পরে ব্লগিং করতে অনেক সুবিধা হবে।
- বেশি সেলস করার চেষ্টা না করাই ভালো - এটা কেউ পছন্দ করে না। প্রেস রিলিজের জন্য পোষ্ট লিখে পোষ্ট করলে সেটা কেউ পড়ে দেখবে না।
- ব্লগের যেন একটি ক্লিয়ার ফোকাস থাকে, আর পোষ্ট যেন নিয়মিত ব্লগে আপডেট হয়। রেগুলার আপডেট না দিলে পাঠক এটা পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
- ব্লগে স্টোরিটেলিং করা যায়, কিন্তু এটা ইন্টারেস্টিং ও আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড না হলে না করাই ভালো (পড়ে যেন এমন মনে না হয় যেন আপনি কাউকে সেল করতে জোরাজুরি করছেন)।
- বিভিন্ন টাইপের কন্টেন্ট দিয়ে ব্লগিং করতে পারেন। যেমন, ভিডিও, পডকাস্ট, ইমেজ ও ইনফোগ্রাফিক পোষ্ট করতে পারেন। এর সাথে দরকারে কিছু টেক্সট অ্যাড করে নিতে পারেন।
৪। কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা
এখন আপনি নিজের ব্লগ সেটাপ করে ফেলেছেন, কিভাবে এটা কাজ করে তাও জানেন, নিজের অ্যাংগেলও ঠিক করে নিয়েছেন; এখন সময় হচ্ছে কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি নিয়ে ভাবা।
এর মানে কি? ধরে নিন এটা হচ্ছে আপনার ব্লগের প্ল্যান। ব্লগের শেষ ধাপ মাথায় রেখে এরপর একটি দৃশ্য কল্পনা করুন। সেটি নিয়ে যত ডিটেইলে খুঁটিনাটি সহ চিন্তা করা যায়, করুন। মানুষকে সেটা সম্পর্কে কি জানাতে হবে, কিভাবে জানাতে হবে, কি কি সার্ভিস দরকার সেটা জানাতে এগুলা বের করুন।
এরপর এই সব বিষয় নিয়ে যে জানতে চায়, সে সার্চ ইঞ্জিনে কি লিখে সার্চ দিতে পারে ভেবে নিয়ে কয়েকটা কি ওয়ার্ড বের করুন। এগুলা আপনি লেখায় ব্যবহার করবেন। শুধু SEO করার জন্য পোষ্ট কি ওয়ার্ড দিয়ে ভরে ফেলা যাবে না, কিন্তু কন্টেন্ট লেখায় এই কি ব্যবহার করে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয়ার একটা উপায় রাখতে হবে মাত্র।
ব্লগিং এর জন্য যেই প্ল্যান বানাবেন, সেটা যেন আপনার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির সাথে মানানসই হয়। আরও জানতে নিচের পোষ্টগুলো পড়ে দেখুনঃ
- মার্কেটিংকিভাবে মার্কেটিং প্ল্যান লিখতে হয়সেলিন রোক
- কন্টেন্ট মার্কেটিংকন্টেন্ট মার্কেটিং কি?অ্যান্ড্রু ব্ল্যাকম্যান
- ব্র্যান্ডিংকিভাবে কোর ব্র্যান্ড ভ্যালু নির্ধারণ করবেন (এবং কেন করা উচিৎ)জুলিয়া মেলিম্ব্রোস
- ব্লগিংসাকসেসফুল অথরিটি ব্লগ বানানঃ ব্র্যান্ডিং এর একটি সম্পূর্ণ গাইডটম ইউয়ার
- ব্লগিংঅডিয়েন্স এনগেজ করার জন্য একটি অথরিটি ব্লগ তৈরি করুনটম ইউয়ার
এবার পোষ্টের সময়সূচী নিয়ে ভাবুন। হ্যা, নিয়মিত লেখা ভালো, কিন্তু ব্লগিং করতে অনেক সময় লাগে। তাই মাসের প্রতিদিন হেলাফেলা করে একটি পোষ্ট দেয়ার চেয়ে মাসে একটি ভালো পোষ্ট দেয়া ভালো। নিজের সুবিধা মত একটি শিডিউল বানিয়ে নিন।
হ্যা, সব পোষ্ট আপনার নিজের লিখতে হবে না। ব্লগ মেইনটেইন করতে একজন স্টাফ মেম্বার রেখে দিতে পারেন, বা কয়েকজন কর্মচারীর মাঝে এই কাজ ভাগ করে দিতে পারেন। তারা নিজেরা লিখে ব্লগে পোষ্ট দিবে। কোম্পানির বাইরের কারও লেখাও ব্লগে দিতে পারেন। একের অধিক মানুষ ব্লগ ম্যানেজ করলে, এই টিউটোরিয়ালটি পড়ে দেখুনঃ
আরেকটি উপায় হচ্ছে, ব্লগের কন্টেন্ট তৈরি করার কাজ কোন ফ্রিল্যান্সারকে আউটসোর্স করে দেয়া। যেহেতু এর সাথে আপনার রেপুটেশন জড়িত, বিশ্বাস করেন এমন কাউকে এই কাজ দেয়াই শ্রেয়। এনভাটো স্টুডিওতে কন্টেন্ট এবং মার্কেটিং সেকশনে ফ্রিল্যান্সার খুঁজে দেখতে পারেন।
টপিক ও ব্লগার নির্বাচন শেষ হলে, এবার এডিটোরিয়াল ক্যালেন্ডারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন, তাহলে Editorial Calendar নামের ফ্রি প্লাগিন টি ব্যবহার করতে পারেন। অথবা, সাধারণ একটি স্প্রেডশিট দিয়েও কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। যেটা ব্যবহারে আপনার সুবিধা হয়, সেটাই করেন।
আগামী কয়েক মাসের জন্য ব্লগের কন্টেন্ট কি কি করবেন সব প্ল্যান করে রাখুন। অনেক ঝামেলার কাজ, কিন্তু পরবর্তীতে এটি অনেক কাজে আসবে। এক সময় ব্লগিং করতে লেখার কোন আইডিয়া খুঁজে পাওয়া যায় না। তখন এটি কাজে দিবে। ব্লগ সব সময় আপডেট রাখা ভালো, এই জন্য ক্যালেন্ডার প্ল্যানিং অনেক কাজে দেয়। কারেন্ট ইভেন্টের উপর খেয়াল রাখতে এই উপায় ব্যবহার করা উত্তম। আর এমন সব দিন বাচাই করে ক্যালেন্ডারে নোট করে রাখুন, যে সব দিনে ব্লগ আপডেট করে ট্রাফিক বেশি পাবেন।
কন্টেন্টকে স্ট্রাকচার দেয়, এমন ফিচারগুলো রেগুলার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। যেমন, আপনি সপ্তাহে একবার ব্লগিং করলে, মাসে ৪টি ব্লগিং স্লট থাকে। সেটার মধ্যে একটি কোন ইন্ডাস্ট্রি লিডারের ইন্টারভিউ হতে পারে, আরেকটি নরমাল টপিক, আরেকটি একটি এক্সপেরিমেন্টাল পোষ্ট, আর শেষটা একটা ভিডিও।
এটি একটি উদাহরণ মাত্র, আপনি আপনার সুবিধামত কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে নেবেন। মূল ব্যাপার হচ্ছে কন্টেন্ট আগে থেকে প্ল্যান করে রাখা, যেন পরে এই ব্যাপারে চিন্তা করতে সুবিধা হয়, আর লিখতে কম সময় লাগে। এগুলা সব যেন কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী হয় তা খেয়াল রাখুন।
পরবর্তী ধাপ
তো এভাবে একটি ব্যবসার ব্লগ শুরু করতে হয়। আপনি দেখলেন কিভাবে ব্লগ সেটাপ করতে হয়, কিভাবে রিসার্চ করতে হয়, কিভাবে মানুষের আগ্রহ তৈরি করতে হয়, এবং কিভাবে কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি ও এডিটোরিয়াল ক্যালেন্ডার নিয়ে কাজ করতে হয়।
পরবর্তী ধাপ হচ্ছে কন্টেন্ট তৈরি শুরু করা। প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করুন, পোস্ট শিডিউল করার অভ্যাস করুন যেন কোন টাইম গ্যাপ না হয়। পাঠকদের সাথে কমিউনিকেট করার জন্য কিছু সময় ব্যয় করুন। কমেন্টের উত্তর দিন। ব্যবসাকে মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যই ব্লগিং করা, তাই কমেন্ট ইগনর করলে সেটা করা সম্ভব না।
আর পোস্টও প্রোমোট করতে হবে, নাহলে কন্টেন্ট মার্কেটিং এ লাভ হবে না। পোস্টে ভালো ভালো ছবি ব্যবহার করতে হবে, এতে করে পাঠকের আগ্রহ বাড়বে। আর কি কি পোস্ট মানুষ পছন্দ করে এটা সময়ের সাথে বুঝে নিতে হবে, এরপর সেই বিষয়ে বেশি করে পোস্ট করতে হবে। প্রশ্ন করে দেখুন কি হয়।
কোম্পানি ব্লগ কিভাবে করতে হয়, এই ব্যাপারে আরও জানতে টুটস+ এর ব্লগিং ক্যাটাগরিতে পোস্টগুলো পড়ুন। যেমনঃ
- হেডলাইনকিভাবে আকর্ষনীয় হেডলাইন লিখবেনলিও বাবাউতা
- মার্কেটিংব্লগে ১ লাখ ভিজিটর পাওয়ার জন্য ৫টি সহজ টিপসক্যারোল টাইস
- ব্লগিংকিভাবে খারাপ ব্লগাররাও একটি মার্কেটেবল ব্যবসার ব্লগ চালায়টারা হর্নর
- ব্লগিংঅথরিটি ব্লগের জন্য কিভাবে অসাধারণ কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়টম ইউয়ার
