কিভাবে মোটিভেশনাল বিজনেস স্পিচ লিখবেন
() translation by (you can also view the original English article)
ব্যবসার কোন না কোন এক পর্যায়ে সব ব্যবসায়ীকেই স্পিচ দিতে হয়। সেটা কর্মচারিদের জন্য হতে পারে। বা হতে পারে কোন স্কুলের জন্য। আপনি নিশ্চই এমন একটা স্পিচ দিতে চান, যেটা সবাই মনে রাখবে? যেটায় সবাই অনুপ্রাণিত হবে?
সেটা করতে হবে আপনার জানতে হবে কিভাবে একটা স্মরণীয় স্পিচ লিখতে হয়। সেটা যেমন আপনার ব্যবসার জন্য ভালো মার্কেটিং হবে, আপনার নিজের জন্যই ভালো পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং হবে।



এই টিউটোরিয়ালে আমরা দেখবো কিভাবে একটা মোটিভেশনাল স্পিচ লিখতে হয়। যেই স্পিচ সবাই মনে রাখবে আর অনুপ্রাণিত হবে।
ডাউনলোড ফ্রি প্রেজেন্টেশন ইবুক
কিভাবে ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি করবেনঃ একটি কমপ্লিট গাইড এই বইটি ডাউনলোড করতে ভুলবেননা! এটা আপনাকে প্রেজেন্টেশন প্রসেসে দক্ষ হতে সাহায্য করবে।



পড়ে দেখুন কিভাবে একটা ভালো মোটিভেশনাল স্পিচ অন্যদের অনুপ্রাণিত করে।
১। কিভাবে মোটিভেশনাল স্পিচ প্ল্যান করবেন
সরাসরি লেখা শুরু করে দেয়া যাবে না। আগে ভাবুন, কি লিখবেন। লেখার আগে যে যে ধাপ ফলো করতে হবেঃ
১ম ধাপঃ আপনার অডিয়েন্স কারা
প্রথমে বোঝার চেষ্টা করুন আপনার অডিয়েন্স কেমন। একেক রকম মানুষের জন্য একেকরকম জিনিষ মোটিভেশন দিবে।
ছাত্র হলে আগে থেকেই এই ব্যাপারে আপনার ভালো আইডিয়া আছে। অন্য স্টুডেন্টদের সামনে কথা বলতে হলে, হয়ত বেশিরভাগকেই আপনি আগে থেকে চেনেন। তারপরেও কিছু কাজ থেকেই যায়, যেগুলো সামলাতে হবে।
- আপনার ক্লাসের স্টুডেন্টরা কি ফুল টাইম না পার্ট টাইম?
- স্টুডেন্টদের এজ রেঞ্জ কি?
- এই স্কুলে আপনি কতদিন ধরে আছেন?
- ক্লাসের বেশিরভাগ স্টুডেন্ট কি সাবজেক্টে মেজর করছে?
- তাদের আগ্রহের বিষয়গুলো কি কি?
বিজনেস স্পিচ দেয়ার সময় হয়ত আপনি জানবেন না আপনার শ্রোতা কারা। কিন্তু রিসার্চ করলে অল্পকিছু তথ্য জানতে পারবেন।
আপনার বিজনেস স্পিচ ব্যবসায়ীদের জন্যই হোক, আর কাস্টমারদের জন্যই হোক। কিছু কমন বিষয় রিসার্চ করতে হবেঃ
- তারা কি ব্যবসায়ী? কিসের ব্যবসা?
- তাদের কোম্পানির সাইজ কি?
- তাদের কি বিষয়ে আগ্রহ বেশি?
- অডিয়েন্সের এজ রেঞ্জ কি?
- অডিয়েন্সের কি আপনার প্রাক্তন ও বর্তমান ক্লায়েন্ট উপস্থিত আছে?
কোথায় স্পিচ দিতে হবে সেটা খবর নিন। পাবলিক ভেন্যুতে দিতে হলে যে রকম প্রস্তুতি লাগবে, একটা কনফারেন্স হলে স্পিচ দিতে তার থেকে ভিন্ন রকম প্রস্তুতি নিতে হবে।
অডিয়েন্স স্টুডেন্ট, ক্লায়েন্ট আর ব্যবসায়ী যারাই হোক, তাদের কালচারাল ডিফারেন্সের কথা খেয়াল রাখতে হবে।
২য় ধাপঃ বক্তব্যের বিষয়ে জানা
হয়ত আপনার বক্তব্যের টপিক সম্পর্কে আপনি কম বেশি জানেন। কিন্তু সাধারণ জ্ঞান দিয়ে বেশি দূর যেতে পারবেন না। এই ব্যাপারে আপনার বিস্তারিত জানতে হবে। সেই সাবজেক্টের কি কি ইস্যুতে আপনার অডিয়েন্সের আগ্রহ আছে, সেগুলো খুজে বের করুন।
উদাহরণস্বরূপ, "আমাদের ৭৫% ক্লায়েন্ট প্রথম বছরে টাকায় সাশ্রয় করে" বলা "আমাদের বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট টাকা সাশ্রয় করে" বলার চেয়ে বেশি ভালো।
আডিয়েন্স কি কি প্রশ্ন করতে পারে, সেগুলোর উত্তর আগে থেকেই খুঁজে জেনে রাখুন।
কি বলছেন সেটা গ্রাফ ও চার্ট দিএ ভিসুয়ালাইজ করে সাপোর্ট দিতে পারলে ভালো। ( এই ব্যাপারে বিস্তারিত পরে আলোচনা করা হবে )
৩য় ধাপঃ গোল সচেতন থাকা
এই স্পিচ থেকে আপনি কি আশা করছেন, এবং অডিয়েন্স কি আশা করছে, তা খেয়াল রাখুন।
এতে করে কোন কাজ করতে কোন ডায়রেকশন নিতে হবে, তা আপনি পরিস্কার বুঝতে পারবেন। খেয়াল রাখবেন, আপনার টপিকে আপনার আগ্রহ না থাকলে, শ্রোতারাও শুনতে কোন আগ্রহ পাবেনা।
স্পিচের শেষে যদি আপনি আপনার শ্রোতাদের কোন নির্দিষ্ট কাজ করতে আশা করেন, সেটা খুব পরিস্কার করে বলুন। এবং কিভাবে সেটা করতে হবে, সেটাও বলুন। যদি আপনি তাদের কোন কিছু কিনতে আশা করেন, তবে সেটা যেন তারা করতে পারে, তার জন্য দরকারি ওয়েবসাইটের ঠিকানা, ফোন নাম্বার ও এড্রেস সরবরাহ করুন।
২। কিভাবে একটা ইন্সপিরেশনাল স্পিচ লিখবেন
প্ল্যানিং শেষে, এখন আপনার কাজ হচ্ছে স্পিচ লেখা শুরু করা। কিভাবে করবেনঃ
১ম ধাপঃ ফরম্যাট ডিসাইড করুন
একটা আউটলাইন আগে থেকেই ঠিক করে রাখলে অর্গানাইজ করা সহজ হয়ে যায়। তখন কখন কি লিখতে হবে আর কোথায় কোন সেকশন যাবে এটা নিয়ে কনফিউশন কমে যায়।
সবার আগে স্পিচের ভুমিকা ও উপসংহার লিখে ফেলুন। প্রফেশনাল স্পিচ রাইটাররা মনে করেন এইটা স্পিচ লেখার সবচেয়ে সহজ আউটলাইন।
কিভাবে স্পিচের ভুমিকা ও উপসংহার লিখতে হয়, তার জন্য এইটা খুব ভালো একটি আর্টিকেলঃ
ভুমিকা ও উপসংহার লিখে ফেললে, এরপর একে একে স্পিচের বডিতে পয়েন্ট এড করা শুরু করুন।
২য় ধাপঃ ফোকাস
মেইন পয়েন্ট এড করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যে কেন সেই পয়েন্ট ইম্পর্টেন্ট তা শ্রোতাদের ব্যাখা করতে হবে। এই কাজটি কিছু কমন রুল ফলো করে করা যায়ঃ
- অডিয়েন্সের ইমোশন ও সেন্সে নাড়া দেয় এমন কিছু।
- কোন ব্যাপার কেন ইন্টারেস্টিং তা তুলে ধরা ।
- এক বা একাধিক শ্রোতার সমস্যা কিভাবে সমাধান করা সম্ভব তা আলোচনা করা।
বডি আউটলাইনে পয়েন্ট এড করার সময় খেয়াল রাখবেন, ৩টা বা সর্বোচ্চ ৪টার বেশি পয়েন্ট যেন না হয়।
বেশি পয়েন্ট আলোচনা করলে অডিয়েন্স কনফিউজ হয়ে যেতে পারে। তাই টু দা পয়েন্ট করা বলুন, ও স্পিচ সংক্ষিপ্ত রাখুন। গুরুত্ব অনুযায়ী জরুরী পয়েন্টগুলো র্যাংক করুন। অন্যান্য পয়েন্ট সেগুলোর নিচে থাকবে।
ড্রাফটে ৪টার বেশি পয়েন্ট থাকলে টপ ৪টা রেখে বাকিগুলো বাদ দিয়ে দিন। সবচেয়ে জরুরী পয়েন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিন।
৩য় ধাপঃ রচনা
আউটলাইন করা শেষ হলে, স্পিচ লেখা শুরু করে দিতে হবে।
স্পিচের টোন যেন আলোচনামুলক হয়। শ্রোতাদের সরাসরি সম্বোধন করুন।
প্রতিটি পয়েন্ট কিভাবে ও কেন শ্রোতাদের জন্য দরকারি, তা আলোচনায় তুলে ধরুন।
একটা ভালো স্পিচ বন্ধুসুলভ আলোচনার মত মনে হবে, কখনই সেটা আদেশমূলক হবে না। মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় স্পিচ দিলে, সেই ভাষী কারো সাহায্য নিতে পারেন।
৪র্থ ধাপঃ অনুপ্রেরণার গল্প
ইন্সপায়ারিং ভালো সব স্পিচে কিছু ইন্সপায়ারিং গল্প থাকে। এমন কোন গল্পের মাধ্যমে আপনার ভিশন শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরুন।
কিন্তু সেটা যেন সত্য হয়। মিথ্যা গল্প শ্রোতারা অনেক সহজে দরে ফেলে।
বানোয়াট কিছু বলতে গেলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
৩। টেমপ্লেট ও ইমেজ দিয়ে স্পিচ স্মরণীয় করে তুলুন
যেহেতু এখন স্পিচ লেখা শেষ, আসুন দেখি কিভাবে সেটাকে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করে উপস্থাপন করা যায়।
১ম ধাপঃ প্রেজেন্টেশন টুল
একটি ভালো প্রেজেন্টেশন টুল সিলেক্ট করুন। খবর নিন যে ভেন্যুতে স্পিচ দিবেন সেখানে আপনার প্রেজেন্টেশন টুলসের সাপোর্ট আছে কিনা।
স্টুডেন্ট হলে একটা টুল খুব সহজেই সিলেক্ট করতে পারবেন আপনি। কোন প্রেজেন্টেশন টুল ভালো ও কোনটা কোন কাজের জন্য সিলেক্ট করবেন, তা জানতে এই ৩টি আর্টিকেল পড়তে পারেনঃ
টুল সিলেক্ট করার পর তা ঠিকমত ব্যবহার শিখুন। সাহায্যের জন্য আমাদের পাওয়ারপয়েন্ট গাইড ও গুগল স্লাইড গাইড পড়ে নিতে পারেন।
২য় ধাপঃ টেমপ্লেট ব্যবহার করুন
কম সময় প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে টেমপ্লেট ব্যবহার করুন। তবে বাজে ডিজাইনের টেমপ্লেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুনঃ
- একাধিক অপ্রয়োজনীয় ফন্ট ব্যবহার করা
- এক স্লাইডে অনেক কিছু প্রেজেন্ট করা
- দৃষ্টিকটু রঙের ব্যবহার
নিজে তো টেমপ্লেট বানাতে পারবেনই, তবে আগে থেকে তৈরি টেমপ্লেট ব্যবহারে সময় সাশ্রয় হয়।
দরকারে, এনভাটো ইলিমেন্ট বা ইনভাটো গ্রাফিক থেকে প্রিমিয়াম টেমপ্লেট কিনে ব্যবহার করতে পারেন। সেগুলো প্রফেশনাল ডিজাইনারদের তৈরি করা। বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেল পড়ে দেখুনঃ
৩য় ধাপঃ সঠিক ইমেজ ব্যবহার
একটি ভালো প্রেজেন্টেশনের জন্য দরকার ভালো ইমেজ, চার্ট, গ্রাফ ও সাপোর্টিং ডাটা।
এতে করে স্পিচে যা বলবেন তা শ্রোতাদের কাছে আরও বেশি গুরুত্ব পাবে। বাজে এসেট ব্যবহারে স্পিচের ইফেক্টিভনেস কমে যেতে পারে।
যদি চিন্তা করেন কোথায় ভালো ইমেজ পাবেন, তবে অন্যান্য ইমেজ সোর্স ও এনভাটো ইলিমেন্টস চেক করে দেখতে পারেন একবার।
৪। প্রিপারেশন নাওয়া
প্রেজেন্টেশন তৈরি শেষে যা করতে হবে তা হচ্ছে প্র্যাকটিস। যদিও আপনার মনে হয় আপনি প্রস্তুতি ছাড়াই পারবেন, আসলে আপনি পারবেন না। অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে।
১ম ধাপঃ রিভিউ ও রিভিশন
স্টুডেন্ট হন আর ব্যবসায়ী, ট্রায়াল এন্ড এররের মাধ্যমে গিয়েই আপনার স্পিচ পারফেক্ট করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। প্র্যাক্টিস না করে স্পিকাররা অনেক সময় কিছু কমন ভুলত্রুটি করেনঃ
- প্রেজেন্টেশনের ডিজাইন ঠি না থাকা
- তথ্যে ভুল থাকা।
- বানানে বা ব্যাকরণে ভুল থাকা
রিভাইস করে এইসব ভুল ঠিক করে ফেলতে হবে স্পিচ দেয়ার আগেই।
২য় ধাপঃ প্র্যাকটিস
প্রেজেন্টেশন একেবারে এরর ফ্রি এটা নিশ্চিত হলে, প্র্যাকটিস শুরু করতে হবে।
যত প্র্যাকটিস করবেন, স্পিচ তত ভালো দিতে পারবেন। কয়েকবার প্র্যাকটিস করলে, স্পিচে কোথায় কোথায় ছোটখাটো চেঞ্জ করতে হবে, তাও আপনি বুঝে যাবেন।
কিভাবে প্রেজেন্টেশনে ভুলত্রুটি এড়াতে হয় জানতে আমাদের এই টিউটোরিয়ালগুলো পড়ে দেখতে পারেনঃ
- Presentations10 Business Presentation Mistakes (And How to Avoid Them)Brad Smith
- PresentationsHow to Give a Good Presentation—Without AnxietyJulia Melymbrose
Learn More About Making Great Presentations
আমাদের The Complete Guide to Making Great Presentations ডাউনলোড করুন ফ্রি এবং আমাদের নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করুন।



পরিশেষ
এই টিউটোরিয়ালে দেখলেন কিভাবে মোটিভেশনাল স্পিচ রেডি করতে হয়। এখন আপনি এমন স্পিচ লিখতে পারবেন যা শ্রোতাদের জন্য স্মরণীয় হবে। আপনি এখন সঠিক উপায়ে মোটিভেশনাল স্পিচ দেয়ার জন্য রেডি। গুড লাক!
